× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত ক্ষমতা পাচ্ছে বিএসএফ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৪, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:২৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তের সঙ্গে ভারতের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জব্দ করার জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ’কে। এ মর্মে কেন্দ্রীয় সরকার নোটিফিকেশন জারি করেছে। ভারতের এমন সীমান্ত প্রদেশের মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা। সরকারের এ ঘোষণায় রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন বিঘ্নিত হবে বলে বিতর্ক উঠেছে। এরই মধ্যে এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি এবং ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন ওইসব রাজ্যে বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র এদিক-ওদিক করা হচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতেই বিএসএফকে ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের এমন উদ্যোগের কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং। তিনি টুইটে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার এলাকায় বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের এই একতরফা সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানাই। সরকারের এমন কর্মকা- ‘ফেডারেলিজমে’র ওপর সরকারি হামলা। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১০ রাজ্য এবং দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরিতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অবৈধ কর্মকা- কমিয়ে আনতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় যা-ই বলুক, এতে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। সিনিয়র একজন রাজনীতিক বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যু। বিএসএফের প্রধান কাজ হলো সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। সম্প্রতি দেখা গেছে তারা সীমান্তের অনেক স্থানে পাহারা দিতেই সক্ষম হচ্ছে না। এর ফলে যখন বিএসএফ কোনো অনুসন্ধানে বা কোনো কিছু জব্দ করতে যাবে, তখন স্থানীয় পুলিশ ও গ্রামবাসীর সঙ্গে তাদের নিয়মিত সংঘাত সৃষ্টি হবে। বিএসএফের দায়িত্ব তো হলো বর্ডার পোস্ট ও এর আশপাশ। কিন্তু নতুন এই ক্ষমতা দেয়ার ফলে অনেক রাজ্যে তারা তাদের ইচ্ছামতো পরিচালিত হবে।
এসব যুক্তির পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, যদি কোনো ক্ষেত্রে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য থাকে, তাহলে স্থানীয় পুলিশ পদক্ষেপ নেয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো না। যত তাড়াতাড়ি পারি আমরা অ্যাকশন নেবো। উল্লেখ্য, নতুন নোটিফিকেশন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও আসামে গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা পাবে বিএসএফ। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও পাসপোর্ট (এনট্রি টু ইন্ডিয়া) অ্যাক্টের অধীনে এসব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তারা। এর ফলে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাবে পুলিশের মতো তল্লাশি চালানো ও গ্রেপ্তারের অধিকার পাচ্ছে বিএসএফ। ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে বিএসএফ। এ ছাড়া তারা নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মনিপুর এবং লাদাখেও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর