উদ্বেগ জানিয়ে পুতিন আরো বলেন, এসব সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশীদের ওপর সরাসরি হামলাও চালাতে পারে।
আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোয় শরণার্থী সেজে ঢুকতে পারে বলেও উদ্বেগ জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সাইমুমিন ইয়াতিমভও। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে তার দেশে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালানের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপরই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। সেখানে সরাসরি স্বার্থ রয়েছে রাশিয়ার। ফলে কপালে ভাজ দেখা যাচ্ছে রুশ নেতাদের মধ্যেও। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও এ দেশগুলো এখনও রাশিয়ার ছায়াতেই রয়ে গেছে। তালেবান যদিও রাশিয়াকে বারবার আশ্বস্ত করেছে যে এসব দেশে সন্ত্রাসী রপ্তানি করবে না তারা। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। তালেবানের কাবুল দখলের পর থেকেই তাজিকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল রুশ সেনারা।