× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পূজামণ্ডপে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীরা পার পাবে না

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ উল্লেখ করে সবাইকে এক হয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, পূজামন্ডপে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের সরকার আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে। সমপ্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট গুজবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ ভাঙচুর এবং অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সার্বক্ষণিক আমরা যোগাযোগ রাখছিলাম এবং এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং যেখানে যেখানে যারাই এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটাবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এটা আমরা অতীতেও করেছি এবং সেটা আমরা করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। মানে এমন শাস্তি যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায়- সেটাই আমরা চাই। গতকাল শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময়কালে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি একে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যায়িত করে বলেন, কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার খুব ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদের আমরা খুঁজে বের করবোই এবং আমরা তা করতে পারবো কারণ এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে এবং সে যেই হোক যে ধর্মেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। আর আমরা তা করেছি এবং করবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সে সময় এই যাত্রাটাকে ব্যাহত করার এবং সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতরে একটা সমস্যা সৃষ্টি করার এ ধরনের কিছু দুষ্ট লোক দেশে রয়ে গেছে। যারা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না। রাজনীতি নেই, কোন আদর্শ নেই আসলে তারাই এ ধরনের কাজ করে। এটা তাদের এক ধরনের দুর্বলতা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যদি সকলে সচেতন থাকে তাহলে এগুলো যেমন প্রতিরোধ করা যায় তেমনি এর বিরুদ্ধে অবশ্যই  ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন- মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার। জাতির পিতার রেখে যাওয়া অসামপ্রদায়িক আদর্শ নিয়েই সরকার পথ চলবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটা অসমপ্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষ সকলে একসঙ্গে বসবাস করবে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। এটা বাংলাদেশে সবসময় ছিল এবং আছে যে প্রতিটি উৎসবের সময় সকলে একসঙ্গে সামিল হয়ে আনন্দ উপভোগ করে। কিন্তু, মাঝে-মধ্যে কিছু দুষ্ট চক্র কিছু ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের ভেতরের এই  চেতনাটাকে নষ্ট করতে চায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর