× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতেই কুমিল্লার ঘটনা: ডা. জাফরুল্লাহ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৫, ২০২১, শুক্রবার, ৭:১৮ অপরাহ্ন

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য চরম ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার জন্য সরকারকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে মানুষের জীবন-জীবিকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। বলেন, কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু পরিবারে বাড়িঘরে হামলা ও মন্দির ভাঙচুর ঘটনার একটিরও বিচার হয়নি। নাসিরনগরে হিন্দু পরিবারে যারা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছিল তারাই নৌকার মনোনয়ন পেয়েছে। কুমিল্লার ঘটনার জন্য পুলিশের গাফিলতি ছিল।  শুক্রবার দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির পাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানি অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানি অনুসারী পরিষদের নেতা শহীদ আসাদের ভাই ডা. নুরুজ্জামান, আল মুকিত, সাইফুল ইসলাম শুভ, গণসংহতি আন্দোলন-কুমিল্লার আহবায়ক ইমরান জুলকারনাইন ইমন প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারের সকল ব্যর্থতা অন্য দিকে প্রবাহ করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ৯৯৯-এ কে ফোন দিয়েছিল তাও খুঁজে বের করা উচিত।
এতো পুলিশের মাঝে কেন এমন ঘটনা ঘটল। পুলিশ কি করেছে? এখন লোক দেখানো ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য খুৎবায় বয়ান করার জন্য তিনি আলেমদের প্রতি আহবান জানান। মন্ডপের ন্যক্কার জনক ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, যারাই পুজামন্ডপে কোরআন রেখেছেন তারা পরিকল্পিতভাবেই একটি সহিংসতা তৈরী করতে চাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি। যারা কোরআন অবমাননা করেছেন এবং প্রতিমা ভেঙেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া একই সময়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নীলচন্দ্র ভৌমিকের নেতৃত্বে পৃথক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এ ঘটনার নিন্দা জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, অ্যাড. শ্যামল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা চন্দন ভৌমিক, জেলা শাখার সভাপতি চন্দন রায়, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাপস বকশি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা নির্মল পাল।  

এর আগে বুধবার সকালে নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড় এলাকার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার খবরে নগরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ ঘটনায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পৃথক চারটি মামলায় ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর