ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়েকটি কয়লার কারখানায় অবাধে কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও কারখানাগুলো বন্ধের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ধামরাই উপজেলায় ২ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় প্রতিদিন শত শত টন কয়লার প্রয়োজন হয়। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ধামরাইয়ের গ্রামে ফসলিজ মি ও লেবু বাগানের ভেতর প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই ২০ থেকে ২৪টি চুল্লি নির্মাণ করে সেখানে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করছে কয়লা। এতে বিষাক্ত ধোঁয়ায় পুরো এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ধামরাইয়ের বালিয়া, বাইশা কান্দার বিভিন্ন গ্রামে নদী ঘেঁষে লেবু বাগানের ভেতর ফসলি জমি ও কাঠ বাগানের মধ্যে চুল্লি তৈরি করে সেখানে পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার টন কাঠ। স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখেই ওই কারখানার শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়লা ব্যবসায়ীরা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, সকলকে ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা পরিচালনা করছি। তাই আপনারা লেখালেখি করে আমাদের কাঠ পুড়ানো কারখানা বন্ধ করতে পারবেন না।