× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকার পেছনের কারণ জানালেন কৃষিমন্ত্রী

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

রেকর্ড পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও বাজারে খাদ্য ঘাটতি এবং দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খাদ্য ঘাটতি ও দাম নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও খাদ্য ঘাটতি ও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না কেন- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাল উৎপাদনে চতুর্থ ছিলাম, ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে এখন তৃতীয় স্থানে এসেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তারপরও খাদ্য ঘাটতি থাকছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। তিনি বলেন, অর্থনীতির প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয় হচ্ছে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই। যদি ডিমান্ড বেশি হয় এবং সাপ্লাই যদি কম হয়, দাম কিছুটা বাড়বেই। আমরা সিন্ডিকেট বলি আর যাই বলি না কেন, দাম বাড়বেই।
আমরা চেষ্টা করি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও ঘাটতির অন্যতম কারণ হিসেবে নন হিউম্যান কনজাম্পশানের কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি জানান, কাবিখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ১০টাকা কেজির চাল দেওয়া হয়। সেটা কিন্তু অনেকেই বিক্রি করে দেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার সময় পাশেই পাইকাররা বসে থাকেন। চাল নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন তাদের অনেকে। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পোলট্রি , মাছ, ডেইরি, প্রাণির খাদ্য উৎপাদনেও একটা বড় অংশ খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নন হিউম্যান কনজাম্পশনে কত পরিমাণ খাদ্যশস্য ব্যবহার হচ্ছে তা পরিসংখ্যানে আনা হয় না। এটি একটি অন্যতম কারণ। কৃষিমন্ত্রী জানান, পিয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এক বছরেই কৃষি মন্ত্রণালয় ৭ লাখ টন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর মোট ৩৩ লাখ টন পিয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য সংকটে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও রাখতে পারবো- এ আশা করি। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংস্থাপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৬ই অক্টোবর শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ- ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’। গতকালের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরতে কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ দিবসের প্রথমভাগে সকালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রতিপাদ্যের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এ সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তার অংশ হিসেবে এ সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রকাশিত ‘১০০ ণবধৎং ড়ভ অমৎরপঁষঃঁৎধষ উবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ ইধহমষধফবংয’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ অবমুক্ত করবেন। এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করবেন। অন্য কর্মসূচির মধ্যে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পর বিকালে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। সেখানে দেশ-বিদেশের কৃষি ও খাদ্য বিষয়ে প্রথিতযশা বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে দিবসটি উপলক্ষে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর