নারায়ণগঞ্জে পুলিশ মামলা না নেয়ায় সড়কের উপর লাশ রেখে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এতে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা পুরাতন সড়কে ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাতে দোকান সাজানোকে কেন্দ্র করে হকারের ছুরিকাঘাতে জুবায়ের নামক অপর এক হকার নিহত হয়। অবরোধকারীদের অভিযোগ, সদর থানার ওসি বৃহস্পতিবার রাত ৩টা পর্যন্ত নিহতের মা-সহ আত্মীয়-স্বজনকে থানায় বসিয়ে রেখেও মামলা নেয়নি। মামলার অভিযোগে হকার নেতা আসাদুল্লাহকে আসামি করায় তিনি মামলা গ্রহণ করতে তালবাহানা করেছেন। এতে রাত ৩টার পর নিহতের আত্মীয়-স্বজন সবাই বাসায় চলে যায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ এনে মামলা গ্রহণ ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের সাধু পৌলের গির্জার কাছে ফুটপাতে দোকান সাজানোকে কেন্দ্র করে হকারের ছুরিকাঘাতে জুবায়ের (১৭) নামে আরেক হকার খুন হয়। এ ঘটনায় রাত ৪টায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে থেকেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করি হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে নিহতের লাশ মাসদাইর কবরস্থানে দাফন করা হয়।