× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেয়ার হোমের বিল শোধে সঞ্চয় শেষ হয়ে যাচ্ছে বৃটিশ প্রবীণদের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৬, ২০২১, শনিবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

বৃটেনে কেয়ার হোমের বিল দিতে গিয়ে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার প্রবীণের সঞ্চয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন ফকল্যান্ড যুদ্ধের একজন যোদ্ধা। তিনি সপ্তাহে ১৪০০ পাউন্ড বিল শোধ করতে নিজের বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। কেয়ার হোমের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনকে নিজেদের খরচের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। একে বলা হয় ‘সেল্ফ-ফান্ড’ প্রক্রিয়া। এই খরচ মেটাতে গিয়ে হাজার হাজার প্রবীণ বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন তাদের বাড়ি। প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে ডাটা প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, নর্থ ইস্টে নিজস্ব অর্থায়নে যে পরিমাণ পেনশনার কেয়ার হোমে থাকেন, তাদের দ্বিগুন সাউথইস্টে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, কেয়ার হোমের বিল পরিশোধ করার জন্য নিজের বাড়ি বিক্রি করেছেন ইয়োভিলের জিমি কুইন (৭৫)। এর কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি মারা গেছেন। গত মাসে সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সালে লাইফটাইম কেয়ার খরচ বাবদ ৮৬ হাজার পাউন্ড দেয়া হবে। এসব ডাটা প্রকাশ করেছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস)।
এতে বলা হয়েছে ইংল্যান্ডের মানুষদের নিজেদের বাড়িসহ সম্পদের মূল্য ২৩,২৫০ পাউন্ডের নিচে নেমে আসার পূর্ব পর্যন্ত কেয়ার হোমের পূর্ণ খরচ বহন করতে হয়। ফলে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, ২০২৩ সালে এসব মানুষের জন্য লাইফটাইম খরচ হিসেবে ৮৬ হাজার পাউন্ড দেয়া হবে। এতে তাদের খরচ যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বিক্রির চাপ কমে যাবে। এতে জাতীয় পর্যায়ে শতকরা ১.২৫ ভাগ ইন্স্যুরেন্স ও ডেভিডেন্টের ওপর কর বাড়বে। এর নাম ‘হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার লেভি’। ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বৃটেনের এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৪ জন অধিবাসী নিজেদের কেয়ারের জন্য পূর্ণ অথবা আংশিক খরচ বহন করেছেন। যা মোটের ওপর শতকরা ৩৭ ভাগ। নিজস্ব অর্থায়নে কেয়ার হোমে থাকা মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সাউথইস্টে। সেখানে এই হার শতকরা ৪৫ ভাগ। আর সর্বনিম্ন নর্থইস্টে। সেখানে এই হার শতকরা ২৪ ভাগ। এ দুটি অঞ্চলে বাড়ির মূল্যে তারতম্যের কারণে এমন পরিস্থিতি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর