× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিবহন ও শ্রমিক সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে পিয়াজের দাম

বাংলারজমিন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

টেকনাফ স্থলবন্দরে পরিবহন ও শ্রমিক সিন্ডিকেট এবং বাড়তি খরচের কারণে পিয়াজ ও অন্যান্য পণ্যাদির দাম বাড়ছে। টেকনাফ স্থলবন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রামে পিয়াজ পরিবহনে ট্রাক প্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ বেশি হয়। ফলে পরিবহনের কারণে পিয়াজের দাম বেড়ে যায়। পাশাপাশি শ্রমিক সমস্যা রয়েছে। একজন ব্যক্তি ৫-৬ বছর ধরে শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ করছে। টেন্ডার ওপেন পদ্ধতিতে না হওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। দেশে পিয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে মিয়ানমার থেকে বেশি বেশি পিয়াজ আমদানি করছে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। গতকাল বেলা ১১টায় টেকনাফ স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান।
এ সময় আমদানি-রপ্তানি কারক, ট্রাক মালিক, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মী, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থল বন্দরের নিয়োজিত সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সচিব বলেন, দেশে পিয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য মিয়ানমার থেকে বেশি বেশি পিয়াজ আমদানি করতে হবে। পিয়াজ আমদানিতে যে শুল্ক ছিল তা প্রত্যাহার করা নেয়া হয়েছে। বিনা শুল্কে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।  টেকনাফ স্থল বন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রামে পিয়াজ পরিবহনে ট্রাক প্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ বেশি হয়। ফলে পরিবহনের কারণে পিয়াজের দাম বেড়ে যায়। বিষয়টি সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি শ্রমিক সমস্যা রয়েছে। একজন ব্যক্তি ৫-৬ বছর ধরে শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। টেন্ডার ওপেন পদ্ধতিতে না হওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, পণ্য বোঝাই ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধি, শ্রমিক সমস্যা, সোনালী ব্যাংকের বুথ স্থাপন, বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাসহ বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী, বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক লে. এম মুহতাসিম বিল্লাহ শাকিল, রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুন নুর, বন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কোয়ারান্টাইন কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি আব্দুল আমিন, বাণিজ্য ব্যবসায়ী, সংবাদকর্মীসহ বন্দরে নিয়োজিত সকল স্থরের কর্মকর্তাগণ।
অপরদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ২ সপ্তাহে ৮ হাজার ৩শ’ টন  পিয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এসব  পিয়াজ ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। আরও কয়েক হাজার টন পিয়াজ ২-৩ দিনের মধ্যে স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘পিয়াজ আমদানি করে লাভবান হচ্ছি না। শুধু মাত্র দেশের চাহিদা ও বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করছি। টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘বাজারে পিয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পিয়াজ আমদানি করছেন। তাছাড়া পিয়াজ পচনশীল পণ্য। ফলে রাতদিন ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি দিচ্ছি। যাতে বাজারে পিয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর