সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে জেলেরা বেপরোয়াভাবে কাউখালীর সন্ধ্যা, কচা, কালীগঙ্গা নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ নিধন থামাতে পারছে না প্রশাসন। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন। আলাদা আলাদাভাবে নদীগুলোর শাখা-প্রশাখায় মা ইলিশ নিধনকারী জেলেদের নদীতে পাতা কয়েক লক্ষাধিক মিটার কারেন্ট জাল এ পর্যন্ত উদ্ধার হলেও জেলেরা অবাধে মা ইলিশ মাছ নিধন করে চলছেই। গতকাল শনিবার সকালেই উপজেলা প্রশাসন কচা ও সন্ধ্যা নদীর মোহনা থেকে ৪৫ হাজার মিটার জাল উদ্ধার করে নদীর চরে পুড়িয়ে ফেলে। উপজেলা মৎস্যা সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওদুদ জানান, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে জেলেরা ফাঁকে ফাঁকে নদীতে জাল ফেলছে। তাতে কমবেশি কিছু মা ইলিশ নিধন হচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানের নির্ধারিত ট্রলারের মাঝির সঙ্গে আঁতাত করে তারা একাজগুলো করেই যাচ্ছে। দুর্বল অভিযান এর ফলে এরকম দায়সারাভাবে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলছে বলে একটি সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে উপজেলায় বিশেষ অভিযানে অতিরিক্ত মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মাহমুদুল হসান জানান, নিয়মিত অব্যাহত আছে। এরপরও কিছু অসাধু জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বনি আমিন জানান, পূজার সময় কিছু ফোর্স কম থাকলেও এখন প্রশাসন চাইলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা করার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাত আরা তীথি জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েক জন জেলেকে জেল ও জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।