× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেধাবী শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

মানিকগঞ্জ জেলা সদরের কাটি গ্রামের বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী খন্দকার মারুফুর রহমান পোশাক কারখানায় চাকরি করছিলেন। এক মেয়ে এক ছেলে নিয়ে সামান্য আয়েও সুখেই চলছিল তাদের সংসার। বড় মেয়ে মেহজাবিন খন্দকার অষ্টম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু হঠাৎ করেই সে দুরারোগ্য দুই ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় মাত্র দেড় মাসে তার চিকিৎসার পেছনে নিজের বেতন, জমানো অর্থসহ যা ছিল সবই খরচ করে ফেলেছেন। বন ম্যারু আর ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মেহজাবিন খন্দকার মাহিদা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মেহজাবিনের বাবা মারুফুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাভারের আড়াপাড়া মহল্লার ইলিয়াস মজুমদারের বাড়িতে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করছি। নিজের আয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে স্থানীয় ভালো একটি স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। ইচ্ছা ছিল গার্মেন্টসে কাজ করেও সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানাবো। কিন্তু অল্প বয়সেই মেয়েটা বন ম্যারু রোগে আক্রান্ত হয়।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ডাক্তার দেখিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করি। এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার সবকিছু শেষ করেছি। এরমধ্যে গত ২২শে সেপ্টেম্বর নতুন করে মেয়েটার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। মেয়েটা বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করলেও বাবা হয়ে ডুকরে কাঁদা ছাড়া আমার কিছুই করার নেই। ডাক্তার বলেছে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লাগবে। আর ভারতে নিয়ে বন ম্যারু রোগের চিকিৎসা করাতেও লাগবে অনেক টাকা। এতো টাকা আমি কোথায় পাবো আর কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাবো। হয়তো টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত মেয়েটার সুচিকিৎসাও করাতে পারবো না। মেহজাবিন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ডি-ব্লকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে বাঁচাতে হৃদয়বানরা কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়ালেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই সংকোচ ভুলে মেয়েকে বাঁচাতে মানবিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। মেহজাবিনের পরিবারের সদস্যরা বলেন, মেয়েটা কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যে কষ্ট পাচ্ছে আল্লাহ্‌ যেন আর কাউকে এমন কষ্ট না দেয়। খন্দকার মারুফুর রহমান বলেন, যখন ভাবি এক রোগের পিছনেই নিজের জমানো সব টাকা খরচ করে আমি নিঃস্ব, এর উপর নতুন করে ধরা পড়েছে ব্লাড ক্যান্সার। তখন নিজেকে ব্যর্থ বাবা মনে হয়, টাকার অভাবে মেয়েটার সুচিকিৎসাও করাতে পারছি না। এখন আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা ছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা নেই আমার। তারপরও সমাজের হৃদয়বানদের মুখপানে তাকিয়ে আছি। ব্যর্থ বাবাটার একমাত্র মেয়েটার চিকিৎসার জন্য গার্মেন্টসের কোনো ফান্ড, সরকার কিংবা কোনো সংস্থার মানবিক সহযোগিতা পেলে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে পারতাম। মেহজাবিনের জন্য সহযোগিতা পাঠানো যাবে বিকাশ (মেহজাবিনের বাবা ০১৭০৩২২২৪২৫) নম্বরে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর