আল আমেরাত স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হলো। এই মাঠ নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই মাসকাটবাসীর। এখানে স্থানীয় এমনকি প্রবাসীরাও ক্রিকেট নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না। সেই শহরেই শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। তবে গোটা শহরের কোথাও নেই বিশ্বকাপের উত্তাপ। স্টেডিয়ামের আশপাশেও নেই কোনো ব্যানার বা ফেস্টুন। নেই কোনো বিশেষ লাইটিং। এক কথায় ক্রিকেট বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা ওমানে ভেন্যু হলেও রঙ লাগেনি বিশ্বকাপের। বাংলাদেশি প্রবাসীরা ছাড়া বেশির ভাগই জানে না কী ঘটতে যাচ্ছে আল আমেরাত স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের প্রবাসী মনির হোসেন বাবু বলেন, ‘আসলে এখানে ক্রিকেট নিয়ে তেমন উত্তেজনা নেই। এখনকার মানুষ ফুটবলটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। আমরা যারা এখনে বাংলাদেশের তারাই মনে হয় একটু বেশি জানি যে এখানে বিশ্বকাপের খেলা হচ্ছে। তার কারণ হলো এখানে আমাদের দেশ খেলছে বলেই খবরটা রেখেছি। এখানে ক্রিকেটকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। যারা ক্রিকেট খেলেন তারাও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।’ শুক্রবার স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা কড়া পাহারায়। সেখানে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের বড় একটি দল প্রবেশ করতে চাইলে তারা গেইট আগলে অনড় দাঁড়িয়ে থাকেন। কারণ, তারা বুঝতেই পারেননি কেন বাংলাদেশ থেকে আসা এত সংবাদকর্মী সেখানে প্রবেশ করতে চাইছে। তবে দুই একজন বাংলাদেশিকে খুঁজে পাওয়া গেলো আল আমেরাত স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথে। তাদের একজন আলম বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশ খেলতে আসবে শুনেই এই মাঠ দেখতে আসা। গোটা শহর ঘুরে দেখেন বেশির ভাগ মানুষই বলতে পারবে না যে এই মাঠেই বিশ্বকাপের খেলা হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশে ক্রিকেট মানেই আনন্দ। পাড়ার ক্রিকেট হলেও থাকে মানুষের ভিড়।’ মাসকাট শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান আল আমেরাত স্টেডিয়ামের। গাড়িতে চড়ে সেই পথে যেতে যেতে কোথাও বিশ্বকাপের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে বিশ্বকাপের কোন ভেন্যু থাকতে পাারে। বাংলাদেশের মতো নেই দলে দলে ক্রিকেট পাগল জনতার ঢলও।