× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধূসর ওমানে টাইগারদের ‘সবুজ স্বপ্ন’

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ, মাসকাট (ওমান) থেকে
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

একদিকে ধূসর পাথুরে পাহাড়, আরেক দিকে নীল সমুদ্র। মাঝে মরুভূমি। হ্যাঁ, এটাই ওমানের প্রাকৃতিক রূপ। তবে রাজধানী মাসকাট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে সবুজের বিপ্লবও। যার নেপথ্যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রম। সেখানেই অবস্থান আল আমেরাত স্টেডিয়ামের। এই মাঠে আজ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ডের। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই হার নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের।
তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডও হুংকার দিচ্ছে বাংলাদেশকে রুখে দেয়ার। অন্যদিকে প্রস্তুতি ম্যাচের হার নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই বাংলাদেশ দলের। নিজেদের লক্ষ্য স্থির করেই এগিয়ে যেতে চান অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ছোট দল বলে  কাউকে যে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। তাই পাপুয়া নিউগিনি, ওমান ও স্কটল্যান্ডের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভিডিও দেখে রণপরিকল্পনা সাজাচ্ছে টাইগাররা। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটি দলকে আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান দেয়ার চেষ্টা করি। তবুও আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। তারা অনেক ভালো দল। এই ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দেয়ার অবকাশ নেই। তাই ব্যাটিং করি বা বোলিং, আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’

কোভিডের কারণে ভারতের পরিবর্তে খেলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। যেখানে ভেন্যু হিসেবে থাকছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম ও ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৩ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আল আমেরাত স্টেডিয়ামটি ওমানের রাজধানী মাসকাটে অবস্থিত। আল হাযার পাহাড়ের পাদদেশে ২০০৮ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪ বছরের কর্মযজ্ঞের পর ২০১২ সালে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটি। এখন পর্যন্ত স্টেডিয়ামটিতে ম্যাচ হয়েছে ১২ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি। পরিসংখ্যান বলছে, এই ২৪ টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করা দল জয় পেয়েছে ১৪ ম্যাচে। আর আগে ব্যাট করা দল জয়ে পেয়েছে ১০ ম্যাচে। প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৫১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৮। দলীয় সর্বোচ্চ ২১০ আর সর্বনিম্ন ৬৪। এই স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ১৮৩ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। এই মাঠে বাংলাদেশ এবারই বিশ্বকাপ ক্যাম্প আয়োজন করে খেলেছে প্রথমবারের মতো। প্রস্তুতি ম্যাচে ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ২০৭ রান করে টাইগাররা। জয় পায় ৬১ রানে। তবে এখন পর্যন্ত এই ভেন্যুতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। তাই অদৃশ্য চ্যালেঞ্জ তো থাকছেই স্কটিশদের বিপক্ষে। বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশই ফেভারিট। তবে স্কটিশ কোচ শেন বার্গার বাংলাদেশ দলের ‘ফেভারিট’ তকমা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। স্কটল্যান্ডের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে। গত ১০ দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪টি ম্যাচ খেলেছে তারা। যার সব কটিতেই জিতে দলটার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। অন্যদিকে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দল তাদের শক্তির পরিচয় দিলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আশানুরূপ ফল নেই। ১১৩ ম্যাচে মাত্র ৪১ জয় টাইগারদের। ৭০ ম্যাচে হেরেছে আর দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। টাইগাররা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচ খেলেছে এবং মাত্র পাঁচটিতে জিতেছে। এর মধ্যে বাছাই পর্ব থেকেই চারটি জয় এসেছে। বাছাই পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তারা। আর এই ফরম্যাটে একবারই স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ২০১২ তে। সেবার নেদারল্যান্ডসের মাটিতে লজ্জার হারই মিলেছিল টাইগারদের। ৫৮ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে স্কটিশদের জয়ের স্বাদ দেন রিচি ব্যারিংটন। এখনো স্কটল্যান্ড দলের অন্যতম খেলোয়াড় তিনি। স্কটল্যান্ডের করা ১৭২/৭ রানের জবাবে মুশফিকুর রহীমের দল গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২৮ রানে।  সেই ম্যাচে খেলা মাহমদুল্লাহ রিয়াদ এবার দলের অধিনায়ক। দলে আছেন মুশফিক ও সাকিব আল হাসানও। ৯ বছর পর আবারো দেখা দুই দলের তাও আবার বিশ্বকাপ মঞ্চে। তবে বদলেছে টাইগারদের দিন, এখন যে কোনো দলকে তারা হারাতে পারে যে কোনো মাটিতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর