ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে সুপরিকল্পিত একাধিক জলাধার প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমিতে জলাধার রয়েছে আর বাকি ১৭০ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। তাই সবাই মিলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’- শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মেয়র বলেন, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে যথেষ্ট অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসি সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদেরকে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেয়া হবে। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত ৬৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ৪৮টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর অধিকাংশ বাসাবাড়ি এমনকি অভিজাত এলাকার ভবনগুলোতেও কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আতিক বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধনের কার্যকর ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। নগরীতে অঞ্চলভিত্তিক ফিক্যাল স্লাজ প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।