× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন শরীফ তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৭, ২০২১, রবিবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের পবিত্র কোরআন শরীফ তৈরি করা হচ্ছে পাকিস্তানে। করাচি আর্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে এই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে এ প্রকল্পে কাজ করছেন কমপক্ষে ২০০ আর্টিস্ট। তারা স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া অ্যালুমিনিয়ামের সুতা দিয়ে অক্ষর বিন্যাস করছেন। এর তত্ত্বাবধান করছেন শহীদ রাশাম। ২০২৬ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পবিত্র এই কোরআন শরীফের দৈর্ঘ্য হবে ৮.৫ ফুট। আর প্রস্থ ৬.৫ ফুট।
বলা হচ্ছে এই কোরআন বিশ্বরেকর্ড করবে। কারণ এর আগে সবচেয়ে বড় মাপের কোরআন শরীফের দৈর্ঘ্য ছিল ৬.৫ ফুট। প্রস্থ ৪.৫ ফুট। এই কোরআন শরীফটি ২০১৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল আফগানিস্তানে। বর্তমানে সেটি রাশিয়ার কাজান শহরে কুল শরীফ মসজিদে রাখা আছে। সেই হিসেবে পাকিস্তানে তৈরি এই কোরআন শরীফের আকার অনেক বড় হবে।
শহীদ রাশামের মতে, ইসলামের কমপক্ষে ১৪০০ বছরের ইতিহাসে তারাই প্রথম অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে পবিত্র কোরআনের অক্ষর বিন্যাস করছেন। এর আগে পবিত্র কোরআনে কাঠ, কাগজ, পশুর চামড়া এবং কাপড়ে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। তাতে ক্লাসিক আর্ট প্রদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু রাশাম বলেন, এই প্রকল্পটি আমার সারাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। শহীদ রাশামের বয়স ৪৯ বছর। তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে গত দুই বছরে পবিত্র কোরআনের প্রথম দুটি পৃষ্ঠার অক্ষর বিন্যাস করেছেন। আর গত কয়েক মাসে তিনি দিনে গড়ে ১০ ঘন্টা সময় দিয়েছেন এ প্রকল্পে। বলেছেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজের চেয়েও বেশি কিছু। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পবিত্র কোরআনের নির্ভুল অক্ষর বিন্যাস। একটি ছোট্ট ভুল হলেই পুরো কাজ বানচাল হয়ে যেতে পারে।
এই নভেম্বরে দুবাই এক্সপো’তে যাচ্ছেন রাশাম। সেখানে তিনি পবিত্র সুরা আর রহমানের আর্টওয়ার্কের নমুনা নিয়ে প্রথম প্রদর্শন করবেন। রাশাম বলেছেন, তিনি তুরস্ক, আরবি, ইরানি আর্ট ও ডিজাইন দেখে এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ছেন। বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে ডিজাইন তৈরি করেছি। তার আগে তুরস্ক, আরবি এবং ইরানি ডিজাইন নিয়ে আমরা গবেষণা করেছি। তবে আমরা যেটা করছি, তার সঙ্গে ওইসব দেশের আর্টের কোনো মিশ্রণ নেই। আমরা শুধু সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে তারা অক্ষরগুলোকে ক্লে’ বা নরম ধাতব গলনে পরিণত করেছেন। তারপর সেটা প্লাস্টার্ড করা হয়েছে। শেষ ধাপে তা সুতা বা তন্তুর রূপ দিয়ে অ্যালুমিনিয়ামে পরিণত করেছেন। এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ, ২০০০ কিলোগ্রাম এলুমিনিয়া, এবং ৬০০ রোল ক্যানভাস। এসব ব্যবহার করে ৭৭৪৩০টি শব্দকে ৫৫০ পৃষ্ঠায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এর সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে আরো সহায়ক অনেক কিছু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর