ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ নিয়ে সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিরোধের কথা অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। শনিবার তিনি বলেছেন, সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে আন্তরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এ পদে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। কে হবেন আইএসআইয়ের ডিজি, তা আগামী শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। তবে দেশের ভিতরে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিরোধ বা সম্পর্কে ফাটলের রিপোর্ট অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, দেশে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। কিছু মানুষ উচ্চ মাত্রায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য এমন এক সময়ে করলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া আইএসআইয়ের ডিজি নিয়োগ নিয়ে একই অবস্থানে নেই।
দৃশ্যত, সেনাবাহিনী এ ইস্যুতে যে অবস্থান নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাকে না জানিয়ে আইএসপিআর গত ৬ই অক্টোবর এ পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আনজুমের নাম ঘোষণা করে দেয়। তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এ পদে নিয়োগ দেয়ার এক্তিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। এ নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণাকে ইংরেজিতে ‘ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট’ বা যথাযথ নয় বলে অভিহিত করা হয়। তারপর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করতে থাকেন সেনাপ্রধান কমর জাভেদ। বিন্দুমাত্র বোধবুদ্ধি থাকা মানুষ পর্যন্ত বুঝতে পারেন, তারা কি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কেনই বা এই ম্যারাথন বৈঠক আকস্মিকভাবে। কারণ, আইএসপিআরের অফিসিয়াল নোটিফিকেশনকে আটকে দেন। এতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।