দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত মিটিং করে যাচ্ছি। যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলা হচ্ছে, যেমন- তেল, চিনিসহ প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা ১১ কলাম ৬
পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে এর প্রভাব পড়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে গরিব কিংবা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবি’র মাধ্যমে কম দামে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। গতকাল রোববার মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পৃষ্ঠা ১১ কলাম ৬
ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় পিয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ২০ শতাংশ পিয়াজের ঘাটতি রয়েছে। যার ৯০ শতাংশ আমরা ভারত থেকে আমদানি করে পূরণ করি।
ভারত যখন দাম বাড়িয়ে দেয়, তখনই আমাদের দেশে তার প্রভাব পড়ে। মিশরসহ অন্যান্য দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করাটা অনেক সময়ের ব্যাপার, অনেক সময় আমদানিকালে পথিমধ্যে পচে যায়। এ বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। টেলিফোন সুবিধা তো আরও বেশি। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি মিলবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের অনেক সুবিধা কমে যাবে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
আগামী ২৬শে অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী “বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যোগদান করবেন।
এ উপলক্ষে গতকাল ব্রিফিংয়ে ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, অবকাঠামো (ফিজিক্যাল, লজেস্টিক অ্যান্ড এনার্জি), আইটি/আইটিইএস এবং ফিনটেক, লেদারগুডস্, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোটিভ অ্যান্ড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, এগ্রো অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং, জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল, এফএমসিজি অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও করণীয় সম্পর্কে বাণিজ্য সম্মেলনে আলোকপাত করা হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৩৮টি দেশের সর্বমোট ৫৫২টি কোম্পানি সপ্তাহব্যাপী ৪৫০টি বিটুবি’তে অংশগ্রহণ করবে, যার মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, এ আয়োজন পিপিপি মডেলের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত, যা বাংলাদেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও নীতি সহায়তার বিষয়সমূহ তুলে ধরবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য অবকাঠামো খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে, যার সুবিধা নিয়ে আমাদেরকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণে পরবর্তী সময়ে আমরা অনেক সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হবো, সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদেরকে এখনই উদ্যোগী হতে হবে এবং এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ, পিটিএ স্বাক্ষর সহ নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।