× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে তরুণী

অনলাইন

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৮, ২০২১, সোমবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভালোবেসে বিয়ে করেও ঘর বাঁধতে পারছে না পম্পা রাণী দাস (২১) নামের এক তরুণী। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামী পার্থ কুমারের বাড়ির ঘরের দরজায় বসে অনশন করছে। কলেজ ছাত্রী পম্পা রানী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার তৈয়ব খাঁ গ্রামের স্কুলশিক্ষক মৃণাল কান্তি রায়ের মেয়ে। পম্পা তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর তার স্বামীর পরিবারের লোকজন বাড়ি তালাবদ্ধ করে গাঢাকা দিয়েছেন বলে প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক তপন কুমার দাস জানান।

পম্পা রানী জানান, পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাটের পল্লী চিকিৎসক স্বপন কুমার দাসের ছেলে প্রার্থ কুমার দাসের সাথে ফেসবুকের পরিচয় ঘটে চার বছর আগে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তিন বছর আগে তার কাকার বাড়িতে বিয়ে তাদের। পার্থ বাড়িতে ফোন করে তার বাবা মাকে আসতে বললে তারা না আসায় আমার পরিবারে লোকজন আমরা বিয়ে সম্পন্ন করে। এর কিছুদিন পর তার মা বাবা আমাদের বাড়িতে আসে।
আমি কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষ ও পার্থ রংপুর শহরে প্রাইম ম্যাটস্ এ পড়ালেখা করি। আমাদের পড়াশোনা করতে হবে এবং পরে অনুষ্ঠান করে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসবে বলে তারা চলে আসেন। এরপর পার্থর পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি বেশ কয়েকবার আসলেও তারা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমি বাড়ি ফিরে যাবো না। গত বুধবার পার্থর বাড়িতে আসলে তার মা, দিদি ও কাজের মেয়ে মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে ৯৯৯ এ কল করলে পুঠিয়া থানা থেকে পুলিশ এসে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার জন্য বলেন।

এলাকার মাতব্বর বয়েন প্রামাণিক জানান, বুধবার সকালে মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে আসার পর পার্থর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেন। তার অবস্থা বিবেচনা করে রাত দশটার দিকে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেই। গত দুইদিন থেকে মেয়েটি পার্থর পিসির বাড়িতে আছেন। পার্থর পিসি বানেশ্বর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপিকা জানান, এদের বিয়ে হয়েছে। মানবিক কারণে বাড়িতে রেখেছি। মেয়েটি আসার পর থেকে বাড়ি তালাবদ্ধ করে পার্থরা সবাই পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, তারা দু'পক্ষই কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় মামলা করেছে বলে শুনেছি। তাই এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর