রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে? ক্ষতিপূরণ কিংবা জেল? কিন্তু তাতে কি আর তরতাজা যুবক বিষ্ণু বর্মনের জীবন ফিরবে! ময়নাগুড়ির যুবক বিষ্ণু অষ্টমীর দিন বাইক চালিয়ে আসছিল শিলিগুড়ি। পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিষ্ণু। শিলিগুড়ির কোনো হাসপাতালে রক্তাপ্লুত বিষ্ণুর জায়গা না হওয়ায় পরিজনরা তাকে ভর্তি করেন কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে। সেখানে দু'দিনে এত বিল হয় যে সোমবার আশংকাজনক বিষ্ণুকে শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা হয়। সেইমতো সোমবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বিষ্ণুকে তাতে তোলা হয়। কিন্তু, কেউ জানতো না অ্যাম্বুলেন্সে জীবনদায়ী অক্সিজেনই নেই। মাঝপথে অক্সিজেনের অভাবে ছটফট শুরু করে বিষ্ণু। অ্যাম্বুলেন্স চালক তখন অসহায়।
কারণ তার গাড়িতে অক্সিজেনের কোনো ব্যবস্থাই নেই। ছটফট করতে করতেই একসময় বিষ্ণু বর্মনের দেহ নিস্পন্দ হয়ে যায়। মাঝপথেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর। অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি পরিষেবা থাকা নিয়ম। অক্সিজেন থাকা তো বাধ্যতামূলক। বিষ্ণু বর্মনের স্বজনরা স্বাস্থ্য কমিশনে যাবেন কিনা জানা নেই। গেলে হয়ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু বিষ্ণুকে আর কোনও দিনই ফিরে পাবেন না। লোলুপ অ্যাম্বুলেন্স মালিকের অবিমৃষ্যকারিতায় সে তো অমৃতলোকের পথে।