× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চার নেতা সিলেটে ছাত্রলীগে পাল্টাপাল্টি শোডাউনে উত্তেজনা

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

সিলেট পৌঁছে শোডাউন করেছেন ছাত্রলীগের চার নেতা। শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তারা মহড়াও দেন নগরীতে। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।  শোডাউন ও মহড়া দিয়েছেন তারাও। এ নিয়ে সিলেটের রাজপথে উত্তেজনাও ছিল। দীর্ঘ চার বছর পর এক সপ্তাহ আগে গঠন করা হয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। দুই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর থেকে ক্ষোভ চলছে সিলেটে। বঞ্চিত বলয়ের নেতাকর্মীরা সিলেটে ঘোষণা দিয়েছেন; ঘোষিত কমিটি বাতিল না হলে তাদের আন্দোলন চলবে। ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন- এবারের ছাত্রলীগের কমিটিতে দর্শনদেউড়ী, টিলাগড়ের গোপালটিলা ও কাস্মির গ্রুপের কর্মীদের জয়জয়কার হয়েছে।
তেলীহাওর গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক পদ পেলেও সেটি তারা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ- সভাপতি হিসেবে তাদের শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন জাওয়াদ খান। এছাড়া- চৌহাট্টা বলয়, টিলাগড়ের দু’টি, সুরমা বলয় সহ আর কেউ চারটির মধ্যে কোনো পদই পাননি। ফলে গত মঙ্গলবার কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকি পদবি প্রাপ্ত নেতাদের বাসাবাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ কারণে সিলেট ছাত্রলীগে টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার রাতে ঢাকায় যান সিলেট ছাত্রলীগের চার নেতা জেলার সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর সভাপতি কিশোর জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম। ঢাকায় অবস্থান করছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ। চারজনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। রোববার রাতে তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এদিকে-  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে গতকাল দুপুরে জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে নিয়ে সিলেটে ফিরেন নাজমুল, সৌরভ ও নাঈম। ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন- জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ সড়কপথে সিলেটে ফিরেন। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত অপর তিন নেতা সকালে বিমানে সিলেটে ফিরেন। এরপর দুপুরে দুপুরে তারা নগরীর আম্বরখানা থেকে কয়েকশ’ মোটরসাইকেল নিয়ে  শোডাউন শুরু করেন। ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন- ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় সিলেটে রাজপথে বিক্ষোভ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। দুপুর ২টার দিকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে  মোটরসাইকেল শোডাউন শেষে  চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করেন নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন- সিলেট  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম। বিক্ষোভ  শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান  নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আমরা ভাই ভাই। তাই আমাদের সকলের মিলেমিশে চলতে হবে। বিক্ষোভে সিলেট  জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের  নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা মোটরসাইকেল শোডাউন করে নগরীর নাইওরপুলস্থ মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে পূজারীদের আশ্বস্ত করে বলেন- ছাত্রলীগ আপনাদের নিরাপত্তায় ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে। সবাইকে নির্ভয়ে বসবাস করার অনুরোধ জানান তারা। এদিকে- বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বঞ্চিত অংশের নেতারা পাল্টা শোডাউন করেছেন। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তারাও এই বিক্ষোভ করে। নগরীর  শেখঘাট তেলীহাওর এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে  চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে বিক্ষোভ করে। আন্দোলনের নেতা আশফাক আহমদ মাসুদ জানিয়েছেন- সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের এই প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। এতে কয়েকশ’ ছাত্রলীগ কর্মী উপস্থিতি প্রমাণ করে সিলেট ছাত্রলীগের কর্মীরা কার সঙ্গে রয়েছে। তিনি বলেন- টাকায় কেনা কমিটি বাতিলের দাবিতে তাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। আজ-কালের মধ্যে তারা ফের মাঠে নামবেন। এবং ঘোষিত কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আশফাক আহমদ মাসুদ, আশরাফুল ইসলাম বাপ্পী, সৌরভ জায়গীরদার, মুহিবুর রহমান, মুশফিকুর রহমান রুনু প্রমুখ। শহীদ মিনারে বিকালের সমাবেশে তেলীহাওর গ্রুপ ছাড়া আরও কয়েকটি বলয়ের নেতারা এসে যোগ দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর