× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ / এসব ২০০১ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর এগুলো ২০০১ সালে বিএনপি সরকার যে নির্যাতন চালিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি। দেশে আবার নতুন করে সামপ্রদায়িক হামলা-সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রতিটি দুর্গাপূজায় হাজার হাজার মণ্ডপে পূজা চলেছে। কোনো ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারা দেশে ‘সমপ্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ শীর্ষক এ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে শেখ হাসিনা আছেন, আওয়ামী লীগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা সামপ্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করবো। হিন্দু ভাইদের বলবো, আপনাদের ভয় নেই, শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে আছে। সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি নষ্টকারীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়ে নাই। সামপ্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে আজ সমপ্রীতি সমাবেশ হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। যতদিন না এই সামপ্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত আমরা ভেঙে দিতে পারবো, ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে, রাস্তায় থাকবে। তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি আজ সামপ্রদায়িক শক্তিকে উস্কে দিয়ে সামপ্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সামপ্রদায়িক এই হামলায় যারাই জড়িত, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এরই মধ্যে সরকার খুব কঠোর হাতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। অসামপ্রদায়িক এই দেশে কোনো সামপ্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, তারা (সামপ্রদায়িক শক্তি) জানে, ভোটের মাধ্যমে এ সরকারকে পরাজিত করতে পারবে না। এ জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে সামপ্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আওয়ামী লীগ এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সারা দেশে সতর্ক আছে উল্লেখ করে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সমপ্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছে। এর গভীর ষড়যন্ত্র আছে। এই অপশক্তিকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংগ্রাম চলতে থাকবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট, শিক্ষা ভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন। এ সময় গুলিস্তান ও আশেপাশের এলাকার মোড়গুলোতে যানবাহনের ধীরগতি ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হওয়া সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর