কলকাতা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজের একচ্ছত্র আধিপত্য জিৎ ও দেবের। কিন্তু উঠতি সিনেমাপ্রেমীরা পর্দায় আরও নতুন নায়কদের দেখতে চায়। তাদের চাহিদাকে সম্মান রেখেই পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বনি সেন গুপ্তকে সুযোগ করে দিলেন ‘বরবাদ’ সিনেমায়। তরুণ এই নায়ক প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন। হয়ে উঠলেন অগণিত বাঙালি তরুণীদের হৃদয়ের রাজা। শুধু পশ্চিম বাংলায় নয় এই নায়ক বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। ‘বরবাদ’ ও ‘পারবো না আমি তোকে ছাড়তে’ এই দু’টি সিনেমায় তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেছেন। বর্তমানে এই অভিনেতা বাংলাদেশের চাঁদপুরে ‘মানব-দানব’ সিনেমায় অভিনয়ে ব্যস্ত।
মানবজমিনের সঙ্গে কথা হলো তার। কেমন লাগছে এই সিনেমায় অভিনয় করে? বনি বলেন, দারুণ সময় পার করছি। খুবই ভালো প্রডাকশন আর আমার এই সিনেমার পরিচালক বজলুর রাশেদ চৌধুরী দাদা এক কথায় চমৎকার। একজন শিল্পীর ভেতর থেকে কীভাবে তার অভিনয়কে পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে হয় তিনি তা জানেন। তার যতই প্রশংসা করি অপ্রতুল। এ ছবিতে আপনার চরিত্র কেমন? এ অভিনেতা বলেন, আমি যে সিনেমায় অভিনয় করছি তার গল্প জেলেপাড়ার জীবন নিয়ে। আমার চরিত্রের নাম রাঙ্গা। জেলেদের জীবন- জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মাছ ধরা। ঝড় বৃষ্টি প্রকৃতির বিরূপ আচরণের মধ্যেও জীবন ঝুঁকি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই। আমিও আমার মা-বাবাকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে জর্জরিত। ইতিমধ্যে আমি সুব্রত দা, জ্যাকি দা, রতনসহ শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ে অংশ নিয়েছি। আমাকে তারা খুবই সহযোগিতা করছেন। শালুক নতুন নায়িকা। ও ভালোই করছে। কলকাতায় আপনার ব্যস্ততা কেমন চলছে? বনি বললেন, কলকাতায় সম্প্রতি মুক্তি পেলো আমার ‘যৌতুকগৃহ’ ও ‘হীরক ঘরের হীরা’। দর্শকদের সাড়া খুবই ভালো। বক্স অফিস রিপোর্টও পজেটিভ। এর বাইরে ৬টা নতুন সিনেমার কাজ চলছে। আপনি কি জানেন বাংলাদেশে আপনার অনেক ভক্ত রয়েছে- যার বেশির ভাগই তরুণী? এ নায়খ বলেন, হ্যাঁ, আমি জানি এদেশের অনেকেই আমার ফ্যানপেজে আমাকে তাদের ভালো লাগার কথা জানান। আমিও সময় সুযোগ করে তাদের উত্তর দেই। অভিনেত্রী কৌশানী ও আপনার রূপালী পর্দায় অভিনয় রসায়ন দর্শক লুফে নেয়। বাস্তব জীবনেও কি সুদূরে আপনাদের শুভদৃষ্টি দেখতে পাবো? এ অভিনেতা হেসে বলেন, বিয়ে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। তার সুদৃষ্টি থাকলে অবশ্যই হবে। চাঁদপুরের বিখ্যাত ইলিশ প্রতিদিনই পাতে পড়ছে আপনার- শুনতে পেলাম?
বনি হাসতে হাসতে বললেন, কলকাতায় কষ্ট করে প্রতিদিন শরীর চর্চা করে ওজন ঠিক রেখেছি। বাংলাদেশে আপনাদের আতিথেয়তায় মনে হচ্ছে ওজন কমাতে পারবো না। আগামী ৩১ তারিখ ফিরে যাচ্ছি কলকাতায়। শরীরের বেশকিছু বাড়তি ওজন নিয়ে (হা-হা-হা)।