× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্কুলছাত্রী অপহরণ / পাকুন্দিয়ায় প্রেমিক শিক্ষক গ্রেপ্তার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৩ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কথিত অপহরণের ৩দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধারে রহস্যের জট খুলেছে। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অপহরণকাণ্ডে জড়িত প্রেমিক শিক্ষক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে উভয়েই কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থান করছিলো। এ ঘটনা আড়াল করতে তার ছকেই সাজানো হয় কথিত দুর্বৃত্তদের অপহরণ নাটক। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক বোরহান উদ্দিন (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোদালিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। পরে দুপুরে বোরহান উদ্দিনকে আদালতে পাঠানোর পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন উপজেলার কোদালিয়া এস আই উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও কোদালিয়া পূর্বপাড়ার মো. আলতাফ উদ্দিনের ছেলে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১২ই অক্টোবর স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করা হয়। জিডিতে বলা হয়, গত ১১ই অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্কুলছাত্রীর খোঁজ মিলছে না। এরপর ১৩ই অক্টোবর রাতে উপজেলার পুলেরঘাট এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৪ই অক্টোবর পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত ৩জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় অপহরণ মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্কুলছাত্রীর মা বিদেশে থাকেন। মেয়েকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা তার মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মুখোশধারী হওয়ায় তাদের কাউকে চিনতে পারেনি স্কুলছাত্রী। মামলা রেকর্ডের পর আসামিদের ধরতে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, প্রেমিক বোরহান ফুসলিয়ে গত ১১ই অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যায়। পরে বোরহান মেয়েটিকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার একটি বাসায় ওঠে। সেখানেই তারা ১৩ই অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে। এদিকে স্কুলছাত্রীর নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় প্রেমিক শিক্ষক বোরহান নিজেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে কথিত অপহরণের নাটক সাজায়। সে মেয়েটিকে পুলেরঘাট এলাকায় রেখে আসে এবং মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে অপহরণ করেছিল, এমন কথা বলার জন্য মেয়েটিকে চাপ দেয়। শিক্ষক প্রেমিকের ভয়ে স্কুলছাত্রী কথিত অপহরণকাণ্ডের বর্ণনা দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূল ঘটনা আড়াল করতে পারেনি বোরহান। অপহরণ মামলাটির আসামিদের ধরতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, বোরহানই এ ঘটনার মূল হোতা। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা দেয় বোরহান। জানায়, মেয়েটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকে গত ৬ মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর সুবাদে সে ফুসলিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল। পরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার একটি বাসায় তারা একত্রে ২ রাত অবস্থান করে। তার শিখিয়ে দেয়া মতো করে মেয়েটি কথিত অপহরণের বিবরণ দিয়েছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর