× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাড়িভাসা ইউপি নির্বাচন / আবারো নৌকার মাঝি হতে চান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

এবারো পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দাবি করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। তিনি গত রোববার সকালে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। এ ব্যাপারে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পঞ্চগড় ১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত নিলে সবাই আমার পক্ষে সুপারিশ করবে। আবুল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু হাড়িভাসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান আলী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। তার পক্ষে ও নৌকার বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। তিনি বলে বেড়িয়েছেন নৌকা ঠেকাও ঘোড়ায় ভোট দেও। তাদের বিরোধিতার কারণে মাত্র ৯৪ ভোটের ব্যবধানে জামায়াতের প্রার্থীর কাছে আমি পরাজিত হয়েছি।
ওই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়া জনবিচ্ছিন্ন নেতা মনির হোসেন এবার নিজে নৌকার মনোনয়ন পেতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এলাকার লোকজনের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন যত টাকা লাগুক মনোনয়ন সে নেবে। এতে করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, দল ও মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিত জয়লাভ করবো। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আলিমউদ্দিন ও গমিরউদ্দিন বলেন, হাড়িভাসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের কর্মকাণ্ডে দলের চরম ক্ষতি হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। সংবাদ সম্মেলনে কসিমুদ্দিন, সামসুল আলম, সিরাজউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, নাজির হোসেনসহ ইউনিয়নের অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ২৮শে নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ২রা নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৪ঠা নভেম্বর বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ই নভেম্বর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর