× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা / ফেসবুকে লাইভ করা ফয়েজের স্বীকারোক্তি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার , কুমিল্লা থেকে
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৩, ২০২১, শনিবার, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক লাইভে প্রচার করার কথা স্বীকার করেছেন আইসিটি মামলার একমাত্র আসামি মো. ফয়েজ আহমেদ। অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লার দুদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ফয়েজ আহমেদ কুমিল্লা সদরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের দেওয়া দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে ফয়েজ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি তার ফেসবুকে লাইভে গিয়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করেন। সেই সাথে তার ৮ জন বন্ধুকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।
তিনি জানান, ফয়েজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে ছিলেন। সৌদি আরবে থাকাকালীন তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতেন। তার কারণে মোবাইলে ভিডিও কল ও ক্যামেরায় ভিডিও করতে পারদর্শী হয়ে উঠেন।
তিনি কুমিল্লায় এসে মোবাইলের দোকান দেন। তিনি নানুয়ার দীঘির পাড় একটি বাসায় থাকতেন। সকালে তিনি মনিং ওয়ার্ক করার সময় নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে ছুটে গিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন। কিন্তু তার জানা ছিলো না এই লাইভে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি হবে।

এই ঘটনায় তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা? জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা তদন্ত করে দেখছি এখনও পর্যন্ত ফয়েজের সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান শেষে ফয়েজকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ১৩ই অক্টোবর নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক লাইভে প্রচার করায় ওই সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৬ই অক্টোবর পুলিশ থেকে মামলাটি সিআইটিতে স্থানান্তরিত হয়। পরে সিআইডি ফয়েজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান উর্মি দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর সকালে নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে পূজামণ্ডপে ঘটনার সময় জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ আহমেদ (৪১) ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাটি প্রচার করেন। দৃশ্যটি লাইভে প্রচার ও মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওইদিন রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর