× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুবলীগের বর্ধিত সভায় হাতি-ঘোড়া

বাংলারজমিন

জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে পদপ্রার্থীদের মহড়ায় কম্পমান হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কার চেয়ে কে বেশি শোডাউন করতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা হয়েছে। কেউ নিয়ে এসেছেন হাতি, কেউবা ঘোড়া। হাসান সারোয়ার নামের এক সভাপতি প্রার্থীর পক্ষে হাতির মহড়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হাতিটি আনা হয়েছে নরসিংদী থেকে। ৩ দিনের জন্যে হাতিটি ভাড়া করা হয় ৯০ হাজার টাকায়। সরাইলের বিশ্বরোডে ঘোড়া নিয়ে হাজির হন আরেক প্রার্থী। এদিকে, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতিতে অচল হয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে এই পথের স্থানে স্থানে অবস্থান নেন যুবলীগের শতশত নেতাকর্মী। এর আগে শতশত মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রোতে করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মহড়া দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় জেলা যুবলীগ নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করেন। সেখান থেকে প্রায় ৭-৮শ’র বেশি  মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন তারা। এ সময় ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মোটরসাইকেল ও ফুলের তোড়া নিয়ে মিছিলে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, যুবলীগের এই সভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় আড়াইশ’ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
১৭ বছর ধরে জেলা যুবলীগের সম্মেলন নেই। ফলে বর্ধিত সভা ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পদপ্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে মহড়ার আয়োজন করেন। তোরণ,ব্যানার-ফেষ্টুনে সাজ সাজ রব ওঠে গোটা এলাকায়। গতকাল দুপুরের পর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই বর্ধিত সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২০০৪ সালের ২৮শে জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন আর সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। প্রায় এক বছর পর ২০০৫ সালের ১৮ই জুন কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম এই কমিটির অনুমোদন দেন। সেখানে সম্মেলনের তারিখ থেকে ৩ বছরের জন্যে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখনো বহাল আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সেই কমিটি। ১৭ বছরে জেলা যুবলীগের কমিটিতে থাকা  অর্ধেক সদস্যই অস্তিত্বহীন এখন। মৃত্যু, দলের অন্য ইউনিটে পদ গ্রহণ, মামলায় জেলে ও প্রবাসে রয়েছেন তারা। উপজেলা ইউনিটগুলোও বেহাল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর