সিলেটের ছাত্রলীগকর্মী ও কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নিহত রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে সামসুদ্দোহা সাদী। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানীসহ কয়েকজন। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানিয়েছেন, ‘রাহাতের চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে।’ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজের ফটকের কাছে আরিফুল ইসলাম রাহাত নামের এক ছাত্রলীগকর্মীকে খুন করে সাদীসহ অন্যরা।
এ সময় চাচাতো ভাই রাফি তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। যাবার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। পরে বের হওয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজের মূল গেট থেকে ২০-২৫ গজ ভেতরে সাদী ও তানভীর সিলভার রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।