× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউপি নির্বাচন / সালথায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত

বাংলারজমিন

সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

ফরিদপুরের সালথায় ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মারিজ শিকদার (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এতে উভয় প্রার্থীর আরও অন্তত ২০ সমর্থক আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ৫০টি বসতঘর। গতকাল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক শটগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গত ১৮ই অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুর বর মোল্যা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রাম্য মাতবর মো. রফিক মোল্যা ও নুরজ্জামান টুকু ঠাকুর। রফিক মোল্যা ও টুকু ঠাকুর খারদিয়া এলাকার একই দলের নেতৃত্ব দেন কয়েক বছর ধরে।
তাদের বাড়িও একই গ্রামে। এক মাস আগে নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর মোল্যা ও তার সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার দলে যোগ দেন। এরই জের ধরে গতকাল সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর হাজারো সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এতে মারিজ শিকদার, নাসির মোল্যা, রহিম মণ্ডল, টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের সমর্থক মারিজ শিকদার নামে এক যুবক মারা যায়। তিনি খারদিয়া গ্রামের সওরাফ শিকদারের ছেলে। এদিকে মারিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নৌকার মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের অন্তত ৫০টি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে। ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ শটগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর