কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত নগরীর কাপড়িয়াপট্টি চাঁন্দময়ী রক্ষা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার হয় ব্যর্থতা স্বীকার করবে, আর যদি ব্যর্থতা স্বীকার না করে তাহলে সরকার ইন্ধনদাতাদের একজন। সরকারি ইন্ধন এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আটক ইকবাল ভবঘুরে-উন্মাদ। সে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে। তাহলে কারা তাকে ইন্ধন দিলো, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। নানুয়াদিঘীর পাড়ের ঘটনার পর সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কুমিল্লায় কিছু অপরিচিত যুবক বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা লুটপাট করে।
অথচ পুলিশ মামলা দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে। জামায়াতকে দিনে দেখা যায় না, রাতেও দেখা যায় না, তারা কীভাবে হামলা-ভাঙচুর করতে পারে। হিন্দু-মুসলমানকে পারস্পরিক মুখোমুখি দাঁড় করাতে এটা সরকারের ষড়যন্ত্র। না হয় ইন্ধনদাতাদের কেন সরকার গ্রেপ্তার করছে না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা অজয় রায় চৌধুরী, গৌতম রায়, দেবাশীষ চৌধুরী, অমলেন্দু দাস, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া প্রমুখ।