× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাহরাস্তিতে দম্পতি খুনের রহস্য উদঘাটন, ঘাতকসহ আটক ৩

বাংলারজমিন

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় নূরুল আমিন (৬৯)ও কামরুন্নাহার (৫৯) দম্পতি খুনের ৪ মাস পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর । এ কাজে অভিযুক্ত মূল ঘাতকসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে চাঁদপুরের বাবুর হাট এলাকায় (২৩-অক্টোবর) গণমাধ্যমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর (পিবিআই)এ পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানা পারভিন ।
তিনি জানান, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনায় চুরি হওয়া একটি মুঠোফোনের (অপো এ-৮৩) সূত্র ধরে প্রথমে এলাকার চিহ্নিত চোর মো. আবদুল মালেককে (৩৪) শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ঘুঘুশাল গ্রাম থেকে আটক করি।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে অপর আসামি সাবেক পুলিশ সদস্য (স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির স্বামী) মো: ইলিয়াছ হোসেন (৫৩) কে ঝালকাঠি জেলার গাবখান এলাকা থেকে ও মোঃ বশির (৪৫)-এর বাড়ি বরিশাল জেলার চরবাড়ীয়া গ্রামে হলে ও তাকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। শনিবার আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জবানবন্দি শেষে অভিযুক্তদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে চলতি বছরের গত ১লা জুলাই নিহত গৃহকর্তা নূরুল আমিন (৬৯) নাওড়া তার নিজবাড়ির ছাদ থেকে মরদেহ উদ্বার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তাকে গত ২৯শে জুন রাতে হত্যা করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী কামরুন্নাহার(৫৯)কে রক্তাক্ত মুমূর্ষ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করলে তিনিও ৩রা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় গত ১লা জুলাই নিহতের এক মাত্র ছেলে মোঃ জাকারিয়া প্রকাশ বাবু বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এদিকে গত চার মাস পূর্বের সংগঠিত হত্যাকা-টি শাহরাস্তি থানা পুলিশ উদঘাটন শেষে এ দায়িত্ব অর্পিত হয় চাঁদপুর জেলা পুলিশ (পিবিআই) এ উপর। পিবিআইএ পক্ষ থেকে মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মোঃ কবির আহমেদ।
উদঘাটিত ঘটনাটি মোটিভ উন্মোচনে চুরি যাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে খুনিকে শনাক্ত করা হয়। তারপর উদ্ধার করা হয় ঘাতকের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রডটি। এদিকে আটককৃত আবদুল মালেক খুনের কথা শিকার করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। সে শাহরাস্তি উপজেলার ঘুঘুশাল গ্রামের আবদুর রব ও রেজিয়া বেগমের পুত্র । এই কাণ্ডের পূর্বে মালেক এলাকায় স্থানীয়দের নিকট একজন রিকশা চালক ও ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত ছিল। সে ঘটনার পূর্বে ওই দম্পতিদের নিয়ে রিকশাযোগে ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতো। এই ঘটনায় ইতিপূর্বে পুলিশ আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত খুনি গত ২৯ জুন নাওড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা মো নুরুল আমিনের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে ঢুকে। চুরি করার এক পর্যায়ে মালেক ধরা পড়ে যায়। এসময় গৃহকর্তা নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার তাকে চিনে ফেললে তাদের মাথায় আঘাত করে হত্যা করার চেষ্টা করে। এতে ঘটনাস্থলেই নুরুল আমিন মারা যায় এবং তার স্ত্রী কামরুন নাহারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান কামরুন নাহার ।
স্থানীয় সুজন তালুকদার বলেন, পিবিআই প্রকৃত খুনিকে আটক করায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গত শুক্রবার রাতে পিবিআইএ মালেককে সাথে নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে হাজির হন। ওই সময় মালেকের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুকুর থেকে খুনে ব্যবহৃত রড উদ্ধার করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর