× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রেমিককে ডেকে নিয়ে জিহ্বা কেটে দিলেন প্রেমিকা

অনলাইন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৪, ২০২১, রবিবার, ৩:১৪ অপরাহ্ন

ঢাকার ধামরাইয়ে পাওনা টাকা চাওয়াতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে জিহ্বা কেটে নেয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা রহমত আলী।
ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুর রহমান (৩২) উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের মোঃ রহমত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। এ ঘটনায় রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে আসামি ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হল- ফরিঙ্গা গ্রামের ফজল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০), শফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিন (২২), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩৮) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২০)। একই এলাকার মৃত কান্দু মিয়ার ছেলে সোহরাব (৬৫) কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাইফুর রহমানের কাছ থেকে মাঝে মধ্যেই ১ নং আসামি শফিকুল ইসলাম টাকা ধার নিতেন আবার পরিশোধও করতেন।
বর্তমানে শফিকুল ইসলামের কাছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পাওনা আছে। টাকা পরিশোধ না করে এতোদিন যাবত টালবাহানা করে আসছিলেন। গত ২২ অক্টোবর বিকেলে ফরিঙ্গা বাজারে ভুক্তভোগী সাইফুলের সেলুনের দোকানের পাশে শফিকুলের সাথে তার তর্কবির্তক হয়। এর জের ধরে ঔ দিন রাতে পাওনা টাকা দেয়ার জন্য শফিকুলের বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে শফিকুলসহ তার পরিবার সাইফুরকে টাকা না দিয়ে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এর একপর্যায়ে সকলে ধরে ঘরের মেঝেতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্য তার বুকে, হাতে আঘাত করে এবং জিহ্বা বের করে জিহবার সামনের অংশ কেটে নেয়। ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে স্বজনরা ও আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সাইফুর রহমানের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত ২নং আসামি শারমিন আক্তারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাইফুর। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় একাধিক বার। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সহযোগিতায় সাইফুলের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়, একপর্যায়ে জিহবা কেটে ফেলে প্রেমিক সাইফুরের।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক তন্ময় সাহা জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আরো ১ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর