ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত শনিবার বিকালে সরাইল শহীদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী প্রার্থীর বদলে কম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের নাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১৭ই অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করতে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তৃণমূলের ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ ভোটের ফলাফল জানতে চাইলে, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ফলাফল প্রকাশে অনীহা জানান। তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট যারা পেয়েছেন, তাদেরকে বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে পছন্দ মতো প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে।
সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারুক হোসেন বলেন, আমি তৃণমূলে ১৯ ভোট পেয়েছি। অথচ আমার থেকে অনেক কম ভোট যে পেয়েছে, তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগ কেউ করলে করতে পারেন। তৃণমূলের কোনো ভোট হয়নি। একটি ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে কোন প্রার্থীর নাম বাদ যাবে, সেই নামটি তৃণমূল থেকে নেয়া হয়েছে। প্রার্থীর ব্যক্তিগত কোনো জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়নি।’