নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. হেমায়েত হুসাইন ফারুককে শারীরিকভাবে ক্ষতি করাসহ হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মো. হেমায়েত হুসাইন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে তার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ও তার কর্মী বাহিনীর উপর হামলা চালানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। নানাভাবে হত্যা ও ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে তিনি গত ২০শে অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় জিডি করেছেন। জানা গেছে, গত ১৮ই অক্টোবর রাতে নড়াইল হতে ফেরার সময় নড়াইল-ফুলতলা সড়কের পেয়ারাতলা নামক স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে পথরোধ করে তার শারীরিক ক্ষতিসহ হত্যার উদ্দেশ্যে অবস্থান নিয়েছিল প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। তিনি বিষয়টি অন্য মাধ্যমে জেনে গিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর আগে ২০শে আগস্ট সৈযদপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকেও তিনি ও তার ১১জন নেতাকর্মী হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হন।
এসব ঘটনা উল্লেখ ছাড়াও তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন তার নেতাকর্মীদের প্রাণনাশসহ অস্ত্র ও মাদক মামলায় ফাসানোর ভয়ভীতি দেয়া হচ্ছে।
নৌকা প্রতীক বা নৌকার অফিস পুড়িয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানে হচ্ছে। তিনি সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জিডি’র সত্যতা স্বীকার করে নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, কোনো প্রকার আইনশৃংখলার অবনতি কাউকে ঘটাতে দেয়া হবে না। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করে বা আইন ভঙ্গ করে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।