× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা: আইনমন্ত্রী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসনে ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনস্টিটিউটে একইসাথে দু’টি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। তিনি যোগ করেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে এক হাজার ১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোনো পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সাথে তা পূরণ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরকেও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে। আনিসুল হক আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল, অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ঠ সন্দেহ ছিল, সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের দায়িত্বপালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তৃতা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর