× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবার হাসলো নাঈমের ব্যাট

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ, শারজাহ (সংযুক্ত আরব আমিরাত) থেকে
২৫ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

শারজাহর উইকেট কি ব্যাটারদের বন্ধু! অস্বীকার কিভাবে করবেন এই সত্যি? রানের খরায় ভুগতে থাকা টাইগারদের ব্যাট হাসলো। বিশেষ করে টাইগারদের তরুণ ব্যাটার নাঈম শেখ মরুর বুকে সুফলা এই উইকেটের সঙ্গে যেন গড়ে তুললেন সখ্যতা। গতকাল সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকান নাঈম শেখ। এর আগে বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ টাইগার ওপেনার।
পাওয়ার প্লের বাদনাম উড়িয়ে গতকাল শুরুর ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪১ রান। লিটন দাস বিদায় নেন ১৬ রানে। কিন্তু নাঈম খেলেন ৫২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। তিনি যখন আউট হন তখন স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ ১৬ ওভারে ১২৯ রান।
বিদায় নেয়ার আগে বিশ্বকাপে নিজের মতো করে আরো একটি ফিফটি হাঁকালেন তরুণ ব্যাটার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। দু‘জনের জুটিতে এসেছে তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হাতে রেখে নির্ধারিত ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭১ রান। ইনিংস বিরতিতে মুশফিকুর রহীম বলেন, ‘সত্যি বলতে, উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ। আমরা আইপিএল ও অন্য ম্যাচগুলি দেখছিলাম। ১৪০ রান এখানে যথেষ্ট মনে হচ্ছিল। তবে আজ উইকেট ভালো। জিততে হলে বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করতে হবে আমাদের। বিশেষ করে, নতুন বলে ব্যাটিং সহজ। তাই শুরুতে উইকেট নিতে হবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই মুশফিকুর রহীম ছিলেন বিবর্ণ। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে সামনে পেয়েই যেন জ্বলে উঠলেন। তার বর্ণীল ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি গড়, রান, ফিফটি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট যে লঙ্কানদের বিপক্ষে। গতকালও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লঙ্কান দলপতি দাসুন শানাকা। আগে ব্যাট করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ নেই অবশ্য টাইগার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। টস জিতলে যে ব্যাটিংই নিতেন। ওপেনিং জুটি অনেকদিন ধরেই চিন্তার কারণ। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ৩ ম্যাচেও হতাশাজনক পারফরম্যান্স। ৩ ম্যাচে উদ্বোধনী জুটি উপহার দেয় মাত্র ১৯ রান। তবে গতকাল বদলে গেল সেই ইতিহাস। ৫.৫ ওভারে লিটন দাস ও নাইম শেখের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ রান। যদিও যথারীতি ব্যর্থ লিটন, ফিরেছেন ১৬ বলে ১৬ রান করে। লাহিরু কুমারার বলে মিড অফে ক্যাচ দেন। সাজঘরে ফেরার আগে লঙ্কান পেসারের সঙ্গে বাগবিত-ায়ও জড়ান।
এরপর ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান শুরুটা দারুণ করলেও বেশিক্ষণ টিকেননি। চামিকা করুণারত্নের বলে বোল্ড হন ৭ বলে ১০ রান করে। তবে অন্য প্রান্তে নাঈম ছিলেন নিজের মতোই। ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৭২ রান। ব্যাট হাতে খারাপ সময় কাটানো মুশফিক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকিয়ে যেনো বার্তা দিলেন আজ রানে ফিরছেন। বাঁহাতি পেসার ভিনুরা ফার্নান্দোকে হাঁকানো দ্বিতীয় ছক্কায়ও ছিলো আত্মবিশ্বাসের রসদ।
১৪তম ওভারে লাহিরু কুমারাকে চার হাঁকিয়ে ৪৪ বলে নিজের ফিফটি ও দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করেন নাঈম। তার আগে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে অবশ্য তাকে ফেরানোর সহজ সুযোগ পায় লঙ্কানরা, তবে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করতে ব্যর্থ হন।
ততক্ষণে আরও চড়াও হন মুশফিক, ১৫তম ওভারে হাসারাঙ্গাকে সুইপ শটে হাঁকান ব্যাক টু ব্যাক চার। তবে অন্য প্রান্তে নাঈম ৫২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে ভাঙে দুজনের ৫১ বলে ৭৩ রানের জুটি। আফিফ হোসেন ৬ বল খেলে ৭ রানে আউট হলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ৩২ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ফিফটি। মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৭ রানে। শেষ দিকে দুই বাউন্ডারিতে ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর