× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা   /বিপন্ন বাজি ব্যবসায়ীরা কেউ ফল বেচছেন, কেউ টোটো চালাচ্ছেন

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা  
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২১, সোমবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন

কালান্তক করোনার কারণে গত বছর কালীপুজো ও দিওয়ালিতে কোনো আতসবাজি বিক্রি হয়নি। এবারও অবস্থা সেইরকমই। বাধ্য হয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নুঙ্গি, চম্পাহাটি, চিংড়িপোতার বাজি ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ বিকল্প পেশা খুঁজে নিয়েছেন। কেউ রাস্তার ধারে ফল বিক্রি করছেন। কেউ টোটো চালাচ্ছেন। বছরের পর বছর  বাজি বিক্রি করে সংসার চালানো মানুষগুলি আজ বিপন্ন। নুঙ্গির বাজি বিক্রেতা খোকন হালদার এমনই একজন মানুষ। তিন পুরুষ ধরে দোদোমা, কালীপটকা, রং মশালের ব্যবসা করে আসছেন খোকন।
গতবার কোর্ট অর্ডার দিল বাজি না ফাটানোর। মানুষও বাতাসে দূষণ ছড়ানোর ভয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। গতবার পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে খোকনের। এবারও একই অবস্থা। তাই, নুঙ্গি স্টেশনের কাছে নাসপাতি, কমলালেবু, আপেল নিয়ে বসে পড়েছে খোকন, বাঁচতে তো হবে। দু’বেলা চারটে মুখে অন্নতো জোগাতে হবে। এই অন্ন যোগাবার তাগিদেই চম্পাহাটির বাজি বিক্রেতা বসন্ত সর্দার আজ টোটো চালক। স্টেশন থেকে নিত্য সওয়ারি নিয়ে যাতায়াত করে। গতবছর থেকে বাজির ব্যবসায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা গুনাগার দিয়েছে বসন্ত। তাই, ওপথে আর হাঁটতে চায় না। এইরকম খোকন, বসন্তদের আজ বাড়বাড়ন্ত কলকাতার কাছের বাজি হাব গুলিতে। আতশবাজির আলো নেই, তাই অন্ধকার নেমেছে দিবসেই। হাহাকার তাই নুঙ্গি, চম্পাহাটি, চিংড়িপোতায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর