× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কি মন্ত্র শিখিয়েছেন ইমরান খান! ঘুমহীন পাকিস্তান, কাঁদলেন বাবরের পিতা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২১, সোমবার, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

১৯৯২ সালের পর শুরু। তারপর এতদিন বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে যেন গুলিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। বার বার বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। একের পর এক পরাজয়। এ কারণে দেশে বিদেশে পরিচিত, অপরিচিত সবার কটূ কথা শুনতে হয়েছে তাদের। রোববার তারই এক মধুর প্রতিশোধ নিলেন বাবর আজম বাহিনী। দলে নেই ঝানু খেলোয়াড়। তারপরও কিভাবে সম্ভব বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জাদেজা, কেএল রাহুল, ভুবনেশ্বর, বুমরাহ... বাহিনীকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো! তবে কি গুরু, কিংবদন্তি ইমরান খানের গোপন মন্ত্র কাজে দিয়েছে! আগের দিন বাবরকে ডেকে নিয়ে তিনি কি দীক্ষা দিয়েছেন! তার ফলেই কি অসাধারণ, দৃষ্টিনন্দন জয় পেয়েছে পাকিস্তান!

প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে অনেকে এ নিয়ে আলোচনা করছেন এখন।
১৯৯২ সালে অধিনায়ক ইমরান খানের বাহিনী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নজিরবিহীনভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই স্মৃতি আবারও নাড়া দিয়ে গেছে পাকিস্তানকে। হয়তো সেই সময়ের অভিজ্ঞতা, কানে কানে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন বাবর আজমকে। অন্যদিকে ‘২৯ বছরের ক্ষত’ যেন মাত্র কয়েক ঘন্টায় শুকিয়ে গেছে পাকিস্তানের। যে জয় তারা পেয়েছে, তা অবিস্মরণীয়, অভূতপূর্ব। কোনো উইকেট না হারিয়ে, হাতে ১৩টি বল থাকতেই আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সঙ্গে আরো একটি নাম যোগ হয়েছে। তিনি শাহীন শাহ আফ্রিদি। নতুন তারায় ভরা বাবর বাহিনী পুরো পাকিস্তানকে রোববার দিবাগত রাতে ঘুমাতে দেয়নি। বহু বছর পর পুরো পাকিস্তান ঘুমায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের মতোই এক আনন্দ দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ঢেউ খেলে যাচ্ছিল। ছেলের কৃতীত্বে অধিনায়ক বাবর আজমের পিতা হাউমাউ করে কাঁদলেন। বললেন, এ এক বিরাট জয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়।

২৯ বছর ধরে বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছে ভারত। এই দীর্ঘ সময়ে টিম পাকিস্তান ও তার ভক্তদের মধ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, তার গভীরতা অনেক বেশি। সেই ক্ষত একদিনে মাত্র কয়েকটি ঘন্টার ব্যবধানে শুকিয়ে গেছে। আনন্দে উদ্বেলিত টেস্ট ম্যাচ বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার পাকিস্তানি ভক্ত আতিফ নওয়াজ বলে উঠেছেন, এমন আনন্দা আমার জীবনে আর কখনো পাইনি। এমন কোনো মুহূর্তের কথা স্মরণ করতে পারি না, যা আমি এতটা ভোগ করেছি। বিশ্বকাপে আপনার এক সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হওয়া বেদনার।
বিবিসি স্পোর্টসকে তিনি বলছিলেন, এই বিজয় অসাধারণ। কারণ, কেউই প্রত্যাশা করেননি এমনভাবে আসবে এই বিজয়। এমন দৃষ্টিনন্দন হবে এই বিজয়। এই আনন্দ পুরো দেশের। কঠিন এই সময়ে দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে এই আনন্দে হাসি ঝরছে। টিম ভারতের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, তারা অত্যন্ত সদয় ছিলেন। এর অর্থ অনেক ব্যাপক। পুরো পাকিস্তান এ ঘটনা শুধু আনন্দই ছড়িয়েছে।

ওই যে বললাম, পাকিস্তান রাতে ঘুমায়নি। বিকেল থেকেই ভক্তরা রেস্তোরাঁ, দোকানে, সিনেমায় ভিড় করতে থাকেন। তারা খেলা দেখবেন। প্রথমে খুব আলোড়ন আসেনি। কারণ, তারা নিশ্চিত ছিলেন ২৯ বছরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। কিন্তু শাহীন শাহ আফ্রিদির তা-ব, শেষে বাবর-রিওয়াজ ঝড় তাদের মধ্যে যেন জোয়ার এনে দেয়। মানুষ সব কাজ ফেলে বসে যায় টিভির সামনে। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই খেলা উপভোগ করেছেন। তাই বিজয়ের মুহূর্তে রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। বিজয় র‌্যালি। পেশোয়ারের রাস্তায় রাস্তায় ফুটেছে আতশবাজি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ভিতরে ভারতীয়দের উল্লাস, চিৎকার যখন ক্রমশই ম্লান হয়ে যাচ্ছিল, তখন জেগে উঠেছিল পাকিস্তান এভাবেই। এমনটা এই ২৯ বছর ধরে উদযাপন করতে পারেননি পাকিস্তানিরা। এই উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি সৌদি আরব সফরে থাকলেও এই জনতার সঙ্গে শরীক হয়েছিলেন টুইটারে। অভিনন্দন জানিয়েছেন বাবর বাহিনীকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর