× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জ্বালানি খরচ নিয়ে দ্বন্দ্ব / আনোয়ারায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ এম্বুলেন্স সেবা

বাংলারজমিন

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সেবা গত দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। জ্বালানি খরচ নিয়ে চালক-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বে ওই অবস্থার তৈরি হয়েছে। ফলে শহরে রোগী স্থানান্তরেও চলছে চরম ভোগান্তি। রোগী এবং স্বজনদের বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলায় অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই দরিদ্র। এসব মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হৃদরোগে আক্রান্ত, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন জটিল রোগী, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীকে প্রতিদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার প্রয়োজন হয়।
এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ভাড়া কম হওয়ায় দরিদ্র রোগীদের অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু এখন এম্বুলেন্স  সেবা না পাওয়ায় রোগী কিংবা স্বজনদের বেশি টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস বা এম্বুলেন্স ভাড়া করে অন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার লকডাউনে হাসপাতালের এম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহনের দায়ে চালক আতাউর রহমানকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তার স্থলে গত ৫ই আগস্ট আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন চালক জাহাঙ্গীর আলম। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন চালক হিসেবে একই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। সে সময় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে বদলি করা হয়েছিল। এবারো যোগদানের পর থেকেই রোগী পরিবহনে নানা টালবাহানা শুরু করেন উক্ত চালক। নানা অজুহাতে রোগী পরিবহনে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন তিনি। আগের চালকরা যেখানে প্রতি মাসে ১০৫ জন রোগী পরিবহন করতেন, সেখানে বর্তমান চালক জাহাঙ্গীর আলম রোগী পরিবহন করছেন মাত্র ৩৪ থেকে ৩৫ জন। রোগীর স্বজনরা জানায়, আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী পরিবহনে সরকারি এম্বুলেন্স ভাড়া ৪৬০ টাকা। চালক রোগীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে সেই টাকায় তেল কিনে রোগী পরিবহন করে থাকেন। মাস শেষে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ভাউচার দিয়ে সেই টাকা সমন্বয় করা হয়। এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে এম্বুলেন্স সেবা। কিন্তু চালক জাহাঙ্গীর যোগদানের পর থেকে আগাম জ্বালানি খরচ দাবি করায় বিপত্তি শুরু হয়। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন দফা চালক জাহাঙ্গীরকে শোকজও করেন। কিন্তু কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এম্বুলেন্স ভাড়ার টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। আমাকে তেলের টাকা না দিলে আমি গাড়ি চালাবো কি করে? উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এম্বুলেন্স চালক জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে আমরা লিখিতভাবে সিভিল সার্জন বরাবর জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উক্ত বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর