× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিনে উচ্ছেদ রাতে দখল

বাংলারজমিন

রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা সড়কের উত্তর পাশে আবারো অবৈধ স্থাপনা করছে দখলদাররা। রাতারাতি পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করে দোকানপাট। আদালতের নামে টাঙানো হয় সাইনবোর্ড। দোকান বরাদ্দের নামে ইতিমধ্যে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চিহ্নিত চক্রটি। এদিকে, দখলবাজির বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। অভিযানে নামে শক্তিশালী টিম। গতকাল বিকালে চালানো হয় উচ্ছেদ অভিযান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে অভিযানকালে দখলদাররা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাজী জসীম উদ্দিন ছিদ্দিকী নামক ব্যক্তি দখলবাজিতে নেতৃত্ব দেন।
তার সিন্ডিকেটে রয়েছে আরও ৪০ জনের মতো। অর্ধশতাধিক শ্রমিক দিয়ে রাতারাতি তারা পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। দোকান দেয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দখলদার চক্রটি।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের ১৭ই অক্টোবর কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানকালে দখলদারদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করে কউক। বছরের মাথায় আবারো সেই একই স্থানে দোকানপাট নির্মাণ শুরু করে চিহ্নিত চক্রটি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১০ই এপ্রিল নোটিশ দেয়। এরপর ব্যবসায়ীরা রিট করলে ২০১৮ সালের ১৬ই এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
পরে, গত বছরের ১লা অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২টি স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের দেয়া রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে ওই ৫২টি স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা না থাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সুগন্ধা পয়েন্টের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর