দোয়ারাবাজারে এক নিরীহ পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারী নেত্রী শামসুন্নাহার। তিনি উপজেলা সদরের ডাকবাংলো রোডের বাসিন্দা। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের ডাকবাংলো রোডে তার নাহার মঞ্জিলে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নারী নেত্রী শামসুন্নাহার বলেন, ২০০৮ সালে আবদুল মালিকের নিকট থেকে সম্পাদনা দলিল মূলে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে একই মালিকানাধীন একই ভূমি ২০২০ সালে উপজেলা সদরের বাজিতপুর মৌজার দাগ নং ১২৮/১ এ ১১ শতাংশ ভূমি রেকর্ডীয় মালিক মকবুল আলীর কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক আছকির আলী ও আবদুল মালিকের নিকট হতে সাবকাবলা দলিল মূলে ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে ডোবা ভরাট করে এখানে সবজি বাগান করি। ডোবা জায়গা ভরাট করার পর হঠাৎ করে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম ওই সম্পত্তি একটি ভুয়া দলিলের ভিত্তিতে নিজেদের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি ১৪৪ ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
ওই মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসলেও প্রতিপক্ষ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে একাধিকবার আমার ক্রয়কৃত দখলীয় সম্পত্তি জবরদখল করতে আসে। একপর্যায়ে তারা সবজি বাগান ও গাছের চারা উপড়ে ফেলে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করতে উদ্যোত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে প্রতিহত করেন। পরে তাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করি। কিন্তু পুলিশ কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
গত ১৮ই অক্টোবর আমি মামলার হাজিরা দিতে সুনামগঞ্জ যেতে প্রস্তুতি নেই। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষ আবার আমার বাসাবাড়িতে হামলা চালায়। তৎক্ষণাৎ আমি আমার মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সমরাজকে ফোন করি। তিনি ঘটনাস্থলে না এসে জানান, মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে নিরুপায় হয়ে আমি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করি। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় বাধ্য হয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হই। এদিকে, এখনো তারা আমার ক্রয়কৃত ও দখলীয় জমি জবরদখল করতে উঠেপড়ে লেগে আছে। যেকোনো সময় তারা আমার বাসাবাড়িতে হামলা চালানোর আশঙ্কা করছি। আমরা তাদের ভয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি এর প্রতিকার চাই।