× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ই-কমার্সে গ্রাহকদের আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ৩ মাসে ফেরত

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়েতে ক্রেতাদের আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা আগামী তিন মাসে ফেরত দেয়া হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করবে। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে গেছে। এটার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সত্যিকার অর্থে জুলাই থেকে যাদের টাকা আটকে আছে সেগুলো যেন তাদের কাছে ফেরত যায়।
এ বিষয়ে যেসব আইনি জটিলতা আছে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি, একটু সময় লাগবে। মন্ত্রী বলেন, জুলাই থেকে পেমেন্ট দিয়ে যারা বিভিন্ন কারণে ফেরত পাননি, ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে, সেটা ক্লিয়ার করে তারা যেন পান, সে লক্ষ্যে কাজ করা হবে। মন্ত্রিসভা থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তারাও কাজ করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে নিবন্ধনের জন্য ইউনিক আইডি, সেন্ট্রাল লগ ইন ট্রাকিং সিস্টেম, কমপ্লেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু এবং ১লা জুলাই থেকে এ পর্যন্ত স্ক্রো সার্ভিসে আটকে পড়া টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত মনে হচ্ছে, মাস তিনেক লেগে যাবে, সব ব্যাপার একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ক সফটওয়্যার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ তথ্য জানাবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ই-কমার্স খাতের জন্য নতুন আইন, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনের মাধ্যমে এ খাত পরিচালনা করা যাবে।
 বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, ৩০শে জুন স্ক্রো সার্ভিসের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১লা জুলাই থেকে যেসব ট্রানজেকশন হয়েছে, সেই ট্রানজেকশনের বিপরীতে টাকা ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি, সেই টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কাস্টমার ও টাকার পরিমাণ আইডেন্টিফাইড। সেগুলো আমরা আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করবো। তিনি আরও বলেন, যেটা স্ক্রো অ্যাকাউন্টে আছে, সেটা দেয়া হবে। যে টাকা ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে গেছে, সেটা তো বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই, সেটা তো দিতে পারবো না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর