× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু / ৪ মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

প্রথম পাতা

মরিয়ম চম্পা
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তুষ্টির রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ৪ মাসেও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত কার্যক্রম। মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তারা। এদিকে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিলম্ব হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় তুষ্টির পরিবার। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সহসাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৫ই জুন ভোরে পুরান ঢাকার আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের একটি সাবলেট বাসার বাথরুম থেকে শিক্ষার্থী তুষ্টির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পায়নি পুলিশ। তবে আংশিক প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। তদন্ত সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি ভিসেরা ও ডিএনএসহ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
যেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে তুষ্টির স্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে হত্যা কিংবা শরীরে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কিনা ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে পেলে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য তাগিদ দিলেও তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেনি ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আটকে আছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। ভিসেরাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সূত্র। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, তুষ্টির বন্ধুদের মধ্যে যে ৩ জনকে সন্দেহজনক বলে মনে হয় তাদেরকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। তুষ্টির মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এটি শতভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যু ছিল। মৃত্যুর পরে প্রাথমিক সুরতহালের সময় তার দুই হাত বাকা হয়ে বুকের ওপর ছিল। একজন ব্যক্তি ভয় পেলে যেমন কুকড়ে যায় ঠিক সেভাবেই তার হাতসহ শরীর কুকড়ে বাকা হয়ে ছিল। তুষ্টির চাচা বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি আংশিক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে সবেমাত্র আংশিক প্রতিবেদন দিয়েছে। খুব শিগগিরই পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশ এবং ঢাকা মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট ফরেনসিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছেন তুষ্টির পরিবার।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণের পর মামলাটির পুরো তদন্ত কার্যক্রম নতুন করে করা হয়েছে। তুষ্টির বন্ধুদের মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে ডিএনএ প্রতিবেদন পেয়েছি সেটাকে আংশিক প্রতিবেদন বলা যেতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে খুব শিগগিরই ভূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর