× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরের ম্যাচে ভুল শুধরে নেবে বাংলাদেশ

প্রথম পাতা

ইশতিয়াক পারভেজ, আরব আমিরাত থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

দুবাই শহর এখন বেশ উত্তপ্ত। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে তুঙ্গে উঠেছে উত্তেজনা। কোণঠাসা পাকিস্তানি সমর্থকরা বেশ প্রাণ খুলেই হাসতে পারছেন। তাদের সঙ্গে উল্লাসে যোগ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কানরাও। মাঠের বাইরে লঙ্কান এক সমর্থক বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য লিটন দাসকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের সমর্থকরা একেবারেই নীরব। তারা যে সংখ্যায় কম এমনও নয়। দুবাইয়ে মোড়ে মোড়েই আপনি পাবেন এ দুই দেশের মানুষ।
নিজেদের দলের হার নিয়ে চুপিসারেই আলোচনা করে যাচ্ছেন তারা। আশায় বুক বেঁধে আছেন কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা জিতবে। হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভ পর্ব। তাই সেমিফাইনালে যাওয়াটা এখন অনেক কঠিন। পরের চার ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততেই হবে। কঠিন সমীকরণে দাঁড়িয়েও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। দলে সুযোগ পেয়েই বিশ্বকাপে দুটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন নাঈম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ইনিংসটি বৃথা গেলেও নাঈমের কণ্ঠে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস।  পরের ম্যাচেই আবুধাবি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেই জয়ে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘দুবাই-ওমানের কন্ডিশন একই। অনেক দিন এখানে আছি আমরা। তো এখানে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে অনেকটাই অ্যাডজাস্ট করেছি। আমারা কাল কোনো একটা মিসটেকের কারণে জিততে পারিনি। ইনশাআল্লাহ আমাদের ফোকাস থাকবে সামনের ম্যাচগুলোতে যেন তিনটা ডিপার্টমেন্টে ভালো করতে পারি।’
বুধবার আবুধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জিততে পারলে বাংলাদেশের জন্য থাকবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। তবে কতটা সহজ হবে ইংলিশদের বিপক্ষে লড়াই করা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে। যদিও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটিও ম্যাচ খেলেনি। সুযোগ ছিল বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলার। কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সিরিজটি বাতিল করে দেয়। জানিয়ে দেয় তারা বাংলাদেশ সফরে আসবে না। তাই দুই দলের টি-টোয়েন্টি লড়াই এখনো ক্রিকেট ভক্তদের দেখার সুযোগ হয়নি। তবে টাইগারদের এই বিশ্বকাপে সব সুবিধা আমিরাতের উইকেট আর গরম। কারণ, এই উইকেটে যেমন ইংলিশরা অভ্যস্ত নয় তেমনি উত্তাপও তারা সইতে পারে না। আবুধাবির উইকেট কেমন হবে তা অবশ্য ধারণা নেই নাঈমের। তবে তারা প্রস্তুত কারণ এরইমধ্যে কিছুটা হলেও উইকেটের চরিত্র অনুমান করতে পেরেছেন তরুণ এই ওপেনার। তিনি বলেন, ‘শুরুতে তো  উইকেট বোঝা যায় না। উইকেট অ্যাসেস করে কীভাবে খেলবো বা কী টার্গেটে খেলবো সেটা ঠিক করতে হয়, কোন স্কোর ভালো সেটা দেখতে হয়। যখন শুরুতে ভালো শুরু পেলাম তখন আমি, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই মিলে অ্যাসেস করে বুঝতে চেষ্টা করলাম ও উইকেট বুঝে রান করার চেষ্টা করেছি যে, এ উইকেটে কত রান করলে ডিফেন্ড করতে পারবো। তো আমরা কাল যে রান করেছিলাম সেটা ডিফেন্ড করার মতো।’  
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলানো হয়নি নাঈমকে। তবে পরের ম্যাচে ফিরেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। সেই ধারাবাহিকতায় একাদশে জায়গা করেছেন পাকাপোক্ত। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই ছিলেন একাদশে। তার ব্যাট থেকে আসা ৬২ রানে ভর করেই বাংলাদেশ দল স্কোর বোর্ডে বড় সংগ্রহ পায়। নিজের রানে ফেরা নিয়ে নাঈম বলেন, ‘আসলে সবসময়ই আমি চাই রান করতে। রান করলে যেকোনো ব্যাটারের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। কোনো ইভেন্ট থাকলে তো আমার বেশি ফোকাস থাকে। আন্তর্জাতিক থেকে ঘরোয়া ইভেন্টে ফোকাসটা বেশি রাখতে হয় ধারাবাহিক রান করার জন্য। আসলে প্রতি ব্যাটারেরই নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। সেরকম আমারও আছে। আর উইকেট দেখেই তো অবশ্যই খেলতে হয়। উইকেট, কন্ডিশন দেখে নিজের পরিকল্পনার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে এরপর ব্যাটিং করতে হয়।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর