নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি ঘটেছে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জানেরপাড়া এলাকায়। স্থানীয় অধিবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি-বালু ফেলে এবারের মতো রক্ষা করেছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার ঈদগাহ মাঠসহ ফসলি জমি খড়খড়িয়া নদীর পেটে গেছে। জানেরপাড়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি বর্ষায় ভাঙলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবে স্থানীয় মানুষরা। ডুবে যাবে ফসলি ক্ষেত। গৃহহারা হবে শত শত মানুষ। এ কারণে বাঁধটি নতুন করে নির্মাণের দাবি উঠেছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ওই বাঁধটি শুধু ফসলি জমি বা মানুষের বাড়িঘর রক্ষা করে না, ওই বাঁধের উপর দিয়ে হালকা মোটরযানসহ মানুষ চলাচল করে। কমপক্ষে ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাঁধটি ব্যবহার করে উপজেলা শহরসহ স্থানীয় পোড়ারহাটে যাতায়াত করছে। কয়েকশত শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাওয়া- আসা করে এই বাঁধের উপর দিয়ে। বর্ষা মওসুমে বাঁধটি নদীর পানির স্রোতে কোনোভাবে ভেঙে গেলে হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়বে। তারা আরও জানান, বাঁধটি সংস্কারের ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শতবার অনুরোধ করেও কোনো ফল মিলেনি। বর্ষা শুরু হলে বাঁধের পাড়ের বাসিন্দারা নিদ্রাহীন রাত কাটান। কখন কোন সময় স্রোতের তোড়ে ভেঙে যায় বাঁধটি। তাদের কথা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা এ বাঁধটি সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধাই করা হলে দীর্ঘদিন টেকসই হবে। রক্ষা পাবে শত শত কোটি টাকা মূল্যের ফসল। এ জন্য ওই জনপদের মানুষ এবারের বর্ষার আগেই বাঁধটি পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কথা হয় বোতলাগাড়ী ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেহানা বানুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। জানেরপাড়া এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধের বেহাল অবস্থা বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় বোতলাগাড়ী ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, জনস্বার্থে বাঁধটি পুনঃনির্মাণ জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।