× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইনজীবী বাসেত মজুমদারের দাফন সম্পন্ন

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৭, ২০২১, বুধবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী বাসেত মজুমদারকে ঢাকায় দুই দফা জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লালমাইতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় । বুধবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় কুমিল্লার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মরদেহ পুরাতন বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে লাশ কুমিল্লা আইনজীবী সমিতিতে নেয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লিাহি...রাজিউন)। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, আইন মন্ত্রী, রেল মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, নৌ পরিবহনমন্ত্রী, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং  বিভিন্ন ব্যাক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এক শোক বার্তায় বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার প্রার্থীদের আইনি সহায়তা দিতে আব্দুল বাসেত মজুমদারের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মৃত্যুতে দেশ একজন দক্ষ আইনজীবীকে হারালো। রাষ্ট্রপতি প্রয়াত বাসেত মজুমদারের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রবীণ এই আইনজীবীর প্রথম জানাজা বেলা ১১টায় বনানী কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। বাদ জোহর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় জাতীয় ঈদগা ময়দানে জানাজার ব্যবস্থা করা হয়। দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে শেষ বিদায় জানান হাজারো আইনজীবী। কফিনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, আইন মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জুনিয়র আইনজীবীর প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাই অংশ নেন জাতীয় ঈতগাহ মাঠের জানাজায়। আর কোনোদিন তার দেখা মিলবে না সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেল যোগাযোগমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মাহাবুব আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর