× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুক না থাকলে কেমন হতো বিশ্বকাপ?

মত-মতান্তর

পিয়াস সরকার
২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

টি-টোয়েন্টি ঝড়ে কাঁপছে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো। বাংলাদেশিদের ভালোবাসার মণিকোঠায় উচ্চ আসনে ক্রিকেট, এতো পুরান কথা। কিন্তু এখন ক্রিকেট ছাপিয়ে ক্রিকেটারদেরকে নিয়েই মত্ত ক্রিকেট প্রেমিরা। যে ময়দানটা গড়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশেষ করে ফেসবুক। চলছে কথার লড়াই। সমালোচনার ঝড়। ভালোবাসার প্রকাশের স্থানটাও আবার ফেসবুক ওয়াল।

পেইন কিলার নিয়ে মাঠে নামা কিংবা আয়নায় মুখ দেখা- এ নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা।
লিটন দাসের ফর্মহীনতা-ক্যাচ ফেলা। সোহান-আফিফের নিরামিষ ব্যাটিং প্রশ্ন তুলেছে অনেক। প্রশ্ন উঠেছে রিয়াদের ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও। কিংবা বিসিবি বস পাপনের বিশ্বকাপ চলা অবস্থায় করা মন্তব্য নিয়েও হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

ক্রিকেটারদের আমরা ভালোবাসতে জানি। রিকশার চাকা থামিয়ে টেলিভিশনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি। পারি রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিভেদ ভুলে লাল-সবুজের গান গাইতে। কথায় আছে- ‘শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে।’ ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্থান আমরা সাকিব, মুশফিক, রিয়াদদের দেই। তাহলে তাদের সমালোচনা কেন করা যাবে না?

ক্রিকেটারদের যেমন থাকতে হবে সমালোচনা সহ্য করবার ক্ষমতা। ঠিক তেমনি থাকতে হবে খারাপ সময় কাটিয়ে ব্যাটে বলে হাসি ফোটানোর স্পৃহা।

গণমাধ্যমের প্রসার হয়েছে। চোখের পলকে হাজির আপডেট তথ্য। কিন্তু সমালোচনার তীরটা যে ছোটে আরও আগে। ফেসবুকে ট্রলের শিকার হন খেলোয়াড়রা। যেসব নেতিবাচকতা চলে যায় খেলোয়াড়দের কান অব্দি। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙ্গে পড়েন মানসিকভাবে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রেস কনফারেন্সে মুশফিকের ‘আয়না’ বয়ান।

এবার ভাবা যাক ফেসবুক যদি না থাকতো কেমন হতো বিশ্বকাপ? দুই ক্যাচ মিস করেছেন লিটন। শুধু ক্যাচ মিস না, ম্যাচটাও যে হাতছাড়া হয়েছে তাতে। এটা কি লিটন জানেন না? অবশ্যই জানেন। কিন্তু ফেসবুকে ট্রলের শিকার হয়ে লিটনের হাল হয়েছে যে নাজেহাল। এই দমটা ফিরে পাবার পথটা কি আমরা সংকুচিত করছি না?

মুক্ত চিন্তার স্থান ফেসবুক। নিজেকে জাহির করার স্থান ফেসবুক। তাই বলে, খেলোয়াড়দের জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্থান নিশ্চয়ই ফেসবুক নয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর