× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদক ব্যবসার নয়া কৌশল এমপিটি ফ্রিকোয়েন্সি সিম

এক্সক্লুসিভ

মরিয়ম চম্পা
১২ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

নিত্যনতুন অপরাধের সঙ্গে বেড়েছে যোগাযোগ কৌশল। তেমনই একটি নয়া যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে অপরাধীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মিয়ানমার পোস্টস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস (এমপিটি)-এর ফ্রিকোয়েন্সি সিম। অপরাধ করে সহজেই পাড় পেতে অপরাধীরা ব্যবহার করছে মিয়ানমারের এই সিম। এতে করে অপরাধী চোখের সামনে বসেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনায়াসে মাদক পাচারের কাজ সম্পন্ন করছে। সম্প্রতি এমপিটি সিম ব্যবহারকারী এমনই একটি চক্রকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমপিটি মূলত মিয়ানমারের সিমকার্ড। কক্সবাজারের সীমান্ত এবং তার আশপাশ এলাকায় এই এমপিটি সিম খুবই জনপ্রিয়। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে এটি এখন নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম। এতে করে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের পরস্পরের মধ্যে হওয়া কথা দেশের মধ্যে অবস্থিত মুঠোফোন সিম কোম্পানিগুলোর শনাক্তের আওতার বাইরে থাকে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যবর্তী এলাকা হয়ে নৌপথে মাদক ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন বার্মিজ পণ্যের চোরাকারবারিরা এমপিটি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করছে।
এই সিম ব্যবহারের কারণে দেশের মধ্যে থাকা বড় কারবারিদের সহজে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। বিদেশের মতো রোমিং পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানেও ব্যবহার করা যাচ্ছে এই এমপিটি সিম। ফলে সহজেই মাদক কারবারিরা বিভিন্নভাবে তাদের গ্রাহকদের কাছে ইয়াবা, আইস, হেরোইনসহ ভয়াবহ সব মাদকদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের মংডু সীমান্তসহ আশেপাশের এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে এমপিটি মোবাইলের ফ্রিকোয়েন্সি টাওয়ার। এ ছাড়া এমপিটি নামের একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের টাওয়ার বসিয়ে বাংলাদেশে এমপিটি রেজিস্টার্ড সিম পাঠাচ্ছে মিয়ানমার। মাদক এবং চোরাকারবারিরা এ সিমের মাধ্যমে মিয়ানমারে অবস্থিত মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
যেটা অনেকটাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর নাগালের বাইরে। সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীতে সর্ববৃহৎ আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) চালানসহ সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা  হোছেন ওরফে খোকন এবং মোহাম্মদ রফিককে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, বিদেশি অস্ত্র এবং মিয়ানমারের সিম এমপিটি উদ্ধার করা হয়। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টেকনাফ সীমান্তে তারা এই এমপিটি সিম ব্যবহার করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এই সিমগুলো অপরাধীরা সরাসরি মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এ ছাড়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক পাচার, খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন কাজে জড়িতরা এই বিশেষ সিম ব্যবহার করে থাকে। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের সঙ্গে ঝুঁকিমুক্ত যোগাযোগের জন্য এমপিটি সিম ব্যবহার করে অপরাধীরা। এটা তাদের কাছে এটি নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর