× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ৩ মাস আটক রেখে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৫ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫)কে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে নোয়াখালীর ছাতারপাইয়া ও টাঙ্গাইলের শহিদপুরে ৩ মাস ধরে আটক রাখে। স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় মামলা করলে ভিডিও ভাইরাল এবং ধর্ষিতাকে হত্যার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। এ ঘটনায় রোববার ওই কিশোরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ব্যাপারে সে তার খালাকে জানালে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষেপে যায়। এরই জের ধরে গত ২৬শে আগস্ট সকাল ১০টায় ভিকটিম মীর কাশেম স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মজুমদার হাটের উত্তর পাশে পৌঁছলে আবু নাছেরের বাড়ির সামনে থেকে নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭)কে অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
এ সময় আবদুল্লাহ আল মামুন ও কামাল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুইদিন পর ২৮শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় সেখান থেকে তাকে সোনাইমুড়ি হয়ে টাঙ্গাইল শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। ওই বাড়িতে কামাল, নাছের ও ফরহাদ আবারো তাকে গণধর্ষণ করে। স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায়। এভাবে চলতে থাকে। এতে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষণ করতো। গত শনিবার (১৩ই নভেম্বর) ভিকটিম কৌশলে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে। একটু সুস্থ হয়ে রোববার বেগমগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করে। এদিকে রোববার ভিকটিম নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে তার আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট কাজী মীর হোসেন ও জেলা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোশাররফ হোসেনকে দিয়ে যখন এজাহার লেখাচ্ছিলেন তখনও টেলিফোনে ধর্ষকরা ভিকটিমের মোবাইলে ফোন করে মামলা না করতে হুমকি দেয়। তারা বলে- মামলা করলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলবে। ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করবে। সিনিয়র আইনজীবী কাজী মীর হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ জঘন্য ঘটনার বিচার হওয়া দরকার। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুর রহমান রনি মানবজমিনকে বলেন, ভিকটিমের এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর