হাতির এমন অপূর্ব একটি সৌন্দর্য আছে, যা অন্য আর কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। আর কী রকম নিমেষেই যে হাতি আমাদের ছেলেমানুষীতে ভরা নিটোল শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে! খবর পেলাম, অনিন্দ্যসুন্দর তেমন একটি হাতিকে নাকি গুলি করে মারা হয়েছে চকোরিয়ায়। দেশে হাতি মারার খবর প্রায় নিয়মিতই পাচ্ছি।
বনবিভাগ আর আইইউসিএনের একটি হিসেবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বনে মাত্র ২৬৮টি এশীয় হাতি বাস করছে। তাদের এক তৃতীয়াংশ বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর কক্সবাজারে। খুব মনের আনন্দে নয়। কারণ বন উজাড় করে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরার পথগুলো দখল করে নিচ্ছে মানুষেরা। ফলে তারা যখন নিজেদের পথে চলতে–ফিরতে আসছে, দখলদার মানুষেরাই উল্টো তাদের গুলি করে মারছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২০টি হাতি মারার খবর পাওয়া গেছে।
আজকে আরেকজন। গত ৬ দিনে ৪ জন হাতি মারা হল ;বাংলাদেশ হাতির জন্য হয়ে উঠছে এক নির্মম গোরস্থান।
হাতি মহাবিপন্ন তালিকায় থাকা একটি প্রাণী। আমাদের অনন্য সৌভাগ্য যে বাংলাদেশ হাতির একটি সুন্দর বিচরণক্ষেত্র। তারা আমাদের ঐশ্বর্য। আগামী পৃথিবীর জন্য কি আমরা তাদের রক্ষা করব না? আমি দাবি করি, আলাদা করে একটি বন্যপ্রাণী অধিদপ্তর বা বিভাগ খোলা হোক। নইলে অচিরেই আমাদের জীববৈচিত্র্য শূন্যের কোঠায় দৌড়ে নামতে শুরু করবে। কপাল চাপড়েও আর উদ্ধার পাব না।
আর সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের মনে একটু মমতা জন্মাক। আমরা জীবে দয়া করি।
'জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।'আজকে আরেকজন।
(জয়া আহসানের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)