× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হোটেল-রেস্তরাঁ খাতকে শিল্প ঘোষণার দাবি

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

রেস্তরাঁ খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং এ খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। এ ছাড়া হোটেল-রেস্তরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা প্রদানের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বর্তমানে রেস্তরাঁ খাত পরিচালনা করার জন্য কমবেশি ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এই ১১টি সংস্থায় প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমরা মনে করি, এতগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের ন্যায় একটি মন্ত্রণালয়/সংস্থা/ অধিদপ্তর থেকে সব অনুমতি প্রদান করা হোক। অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে একটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। নবায়নের ক্ষেত্রে সকল ছাড়পত্র প্রতি বছরের পরিবর্তে ৩ বছর মেয়াদি করা হোক।
এদিকে হোটেল-রেস্তরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা প্রদানের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতের মধ্যে অন্যতম রেস্তরাঁ খাত।
এ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। কৃষি, পর্যটন, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সব ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই খাত। কিন্তু সরকারিভাবে রেস্তরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেয়ায় চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। কাজেই অবিলম্বে হোটেল-রেস্তরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
সমিতির নেতারা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন আমলারা। সরকারি ৭টি সংস্থা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিক সমিতির নেতারা।
সরকারের কাছে আরও কিছু দাবি তুলে ধরে তারা বলেন, সারা বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোনো রেস্তরাঁকে ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে যাতে কোনো ব্যবসায়ীক বৈষম্য থাকবে না। এতে ব্যবসায় অসম প্রতিযোগিতা হবে না।
ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে, সকল খাদ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। পণ্যের মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট সংযুক্ত করে মূল্য নির্ধারণ করার নতুন আইন বাদ দিতে হবে। ব্যবসার স্থাপনা, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিলসহ অন্যান্য ক্রয়কৃত পণ্যে এবং সেবা যেখানে ভ্যাট প্রদান করা হয়েছে, সেগুলোকে উপকরণ বিবেচনা করে আদায়কৃত ভ্যাটের ৫০% রেয়াত সুবিধা প্রদান করতে হবে। আয়কর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে রেস্তরাঁ খাতে মোট বিক্রয়ের ওপর ৩৫%-৪০% গ্রস লাভ ধরা হয়। গ্রস লাভের এক তৃতীয়াংশ অন্যান্য খরচ বাদ দেয়া হয় যা অস্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে কখনোই সম্ভব হয় না। আমরা মোট বিক্রয়ের ওপর ২০% গ্রস লাভ এবং দুই-তৃতীয়াংশ খরচ ধরে আয়কর মূল্যায়নের প্রস্তাব রাখছি অথবা বাৎসরিক মোট টার্নওভারের ওপর ১.৫% কর সরাসরি আরোপ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারলে ভ্যাটের সঙ্গে আয়কর সমন্বিত হবে, করদাতার হয়রানি কমবে এবং আয়কর আট থেকে দশগুণ বেড়ে যাবে।
হোটেল-রেস্তরাঁ খাতের স্টাফদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এজন্য নিরাপদ খাদ্যের অধীনে সমস্ত সংস্থাকে একসঙ্গে এনে প্রথমে একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। ট্রেনিংয়ে প্রদর্শিত নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে জরিমানা করতে হবে।
আমরা মনে করি ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ৩০% লোক রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যদি এগিয়ে যেতে পারি তাহলে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশের জিডিপিতে আমরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে রেস্তরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, মহাসচিব ইমরান হাসান, প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন সিআইপি, ১ম সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মৃধা বেলু, ১ম যুগ্ম মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, ট্রেজারার তৌফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর